এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে অফিশিয়াল বল ‘আল রিহলা’ দিয়ে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচে এবার ‘আল রিহলা’র বদলে ব্যবহার করা হবে ‘আল হিল্ম’ বল।
কাতারের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যই গুরুত্ব পেয়েছে বলের আকৃতি, গঠন ও রঙ নির্ধারণে
রিহলার মতোই হিল্ম প্রযুক্তিনির্ভর বল। এতে সংযুক্ত থাকছে সেমি–অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তির বিভিন্ন ফিচার। অফসাইড সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নির্ভুল সিদ্ধান্ত পেতে বলের এই প্রযুক্তি এবারের বিশ্বকাপে সফলতার সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়েছে।
‘আল রিহলা’ শব্দের অর্থ ছিল সফর। গত ২০ নভেম্বর থেকে বিশ্বকাপের দলগুলো নিজেদের যাত্রা শুরু করেছিল একটা নির্দিষ্ট স্বপ্নের দিকে। সেমিফাইনালে উঠে ৩২টি দলের মধ্য থেকে চারটি দল সেই স্বপ্ন পূরণের কাছে পৌঁছেছে। আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও ফ্রান্স—এই চার সেমিফাইনালিস্ট এখন চূড়ান্ত স্বপ্নের লক্ষ্যে খেলবে। শেষ চার থেকে ব্যবহৃত বলের নাম আল হিল্মের অর্থ—স্বপ্ন।
আর্জেন্টিনা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে খেলবে। ফ্রান্সও তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিততে চাইবে। ফরাসিদের সামনে এবার ১৯৬২ সালে ব্রাজিলের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন। ক্রোয়েশিয়া গতবার ফাইনালে উঠে পারেনি, এবার তারাও চাইবে নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবির্ভূত হতে। মরক্কো তো সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়েই সেমিফাইনালে উঠেছে। তারাও চাইবে শিরোপা জিতে নতুন ইতিহাস গড়তে। আল হিল্ম দিয়েই তাদের ঝাঁপাতে হবে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে।
এবারের বিশ্বকাপে ফিফা নির্ভুলভাবে অফসাইড ধরার জন্য ব্যবহার করছে সেমি–অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি, যেটি বলের মধ্যে থাকা আইএমইউ সেন্সরের মাধ্যমে নির্ণয় করা হচ্ছে। বলটি কোথায় আছে, সেটি দিয়েই ধরা পড়ছে অফসাইড। বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের তৈরি আল রিহলা বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল হিসেবে নতুন এক ইতিহাসই রচনা করেছে। সেমিফাইনালেও ‘আল হিল্ম’ও এই ইতিহাসকে ভিন্নমাত্র দিচ্ছে।