খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী আজ 

গেজেট ডেস্ক

জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এঁর ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী সোমবার (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে নিহত তিনি। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

জন্ম ও শৈশবে তার ডাক নাম ছিল কমল। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ রূপে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা নগরীতে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তার পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি নগরীতে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ওই বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট রূপে যোগদান করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট রূপে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রূপে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।

করাচিতে দুই বছর কর্মরত থাকার পর ১৯৫৭ সালে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে স্থানান্তরিত হয়ে আসেন। জিয়াউর রহমান ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ওই সময় ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের দিনাজপুর শহরের খালেদা জিয়ার সঙ্গে জিয়াউর রহমান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। যুদ্ধে দুর্র্ধষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল তাদের অন্যতম। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে। এ ছাড়াও জিয়াউর রহমানের ইউনিট এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি সিতারা-ই-জুরাত এবং নয়টি তামঘা-ই-জুরাত পদক লাভ করে।

১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পেশাদার ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ লাভ করেন। সে বছরই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড কোর্সে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হয়ে জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। অ্যাডভান্সড মিলিটারি এন্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথেও কাজ করেন। ১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।

কর্মসূচি:  প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৫দিনের কর্মসুচি গ্রহন করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি। কর্মসুচির প্রথম দিনে ৩০ মে মহানগর বিএনপির কার্যালয়সহ মহানগরীর সকল দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ এবং কোরআন খতম, সকাল ১০টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। দোয়া মাহফিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।

খুলনা জেলার প্রতিটি পৌরসভা ও উপজেলার স্ব স্ব ইউনিটে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সোমবার জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ মহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, জোহর বাদ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। নগর বিএনপি’র সাথে যৌথভাবে এসব কর্মসূচি সফলে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন করবে জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।- খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!