খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

সাতক্ষীরায় বীজ ও সার পাচ্ছেন ৩২ হাজার কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে সাতক্ষীরার জেলার ৩২ হাজার ৩০০ জন কৃষক। ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলার সাত উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের শস্য আবাদের জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে এ প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষিবান্ধব সরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিভিন্ন মৌসুমে ফসল উৎপাদনে জন্য প্রণোদনার বীজ ও সার ব্যবহার করে শস্য উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা পূরণে অবদান রাখবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরার জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলা মোট ৩২ হাজার ৩শ’ কৃষিককে বীজ ও সার দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেলার ১০ হাজার কৃষককে বোর ধানের (উপসী) বীজ ও সার দেওয়া হবে। এই কর্মসুচির আওতায় বোর ধান (উপসী) সদর উপজেলায় দুই হাজার জন কৃষককে, কলারোয়া উপজেলায় এক হাজার ৬শ’ জনকে, তালা উপজেলায় এক হাজার ৮শ’ জনকে, দেবহাটা উপজেলায় এক হাজার জনকে, কালিগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার ৩শ’ জনকে, আশাশুনি উপজেলায় এক হাজার ৩শ’ জনকে এবং শ্যামনগর উপজেলায় এক হাজার জনকে পাঁচ কেজি ধানের বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

এছাড়াও বোর ধান (হাইব্রিড) বীজ পাবে জেলার ১৪ হাজার কৃষক। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় তিন হাজার জন, কলারোয়া উপজেলায় দুই হাজার ৫শ’ জন, তালা উপজেলায় তিন হাজার জন, দেবহাটা উপজেলায় এক হাজার ৫শ’ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার জন, আশাশুনি উপজেলায় দুই হাজার জন ও শ্যামনগর উপজেলায় এক হাজার জনকে দুই কেজি হাইব্রিড ধানের বীজ দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী রবি মৌসুমে দুই হাজার কৃষককে গমের বীজ ও সার দেওয়া হবে। এদেও মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৬৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ৫শ’ জন, তালা উপজেলায় ৪৫০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ১শ’ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১শ’ জন, আশাশুনি উপজেলায় ১শ’ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ১শ’ জন কৃষককে ২০ কেজি গমের বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

একই মৌসুমে এক হাজার কৃষককে ভূট্টার বীজ ও সার দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ১৫০ জন, তালা উপজেলায় ১৭০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৮০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ জন, আশাশুনি উপজেলায় ১শ’ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ১শ’ জন কৃষককে দুই কেজি ভূট্টার বীজ, ২০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

এছাড়াও পাঁচ হাজার কৃষককে সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৯৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় এক হাজার ৫০ জন, তালা উপজেলায় ৯শ’ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৪৫০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৬শ’ জন, আশাশুনি উপজেলায় ৫শ’ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ৫৫০ জন কৃষককে এক কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। একই মৌসুমে তিনশ কৃষককে খেসারির বীজ ও সার দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ৪০ জন, তালা উপজেলায় ৩০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৩০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০জন, আশাশুনি উপজেলায় ২০ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ৫০ জন কৃষককে আট কেজি খেসারির বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

সাতক্ষীরার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন মৌসুমের ফসল উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রণোদনার বীজ ও সার ব্যবহার করে উপকারভোগী কৃষকরা শস্য উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা পূরণে অবদান রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!