খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি; গেজেট শিগগিরই

শেষ দু’টি স্ল্যাব বসলো পদ্মার রেললাইনে

গেজেট ডেস্ক

পদ্মাসেতুর রেলওয়ের সব স্ল্যাব স্থাপন হয়ে গেছে। রোববার সেতুতে রেল স্ল্যাবের শেষ দু’টি বসানো হয় বলে জানান পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী।

সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসলেও রোডওয়ের ২২৮টি স্ল্যাব বসানো বাকি রয়েছে। ২ হাজার ৬৭৯টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসেছে। এখন সেতুর নিচতলায় রেলওয়ে স্ল্যাবগুলোর ফিনিশিংয়ের কাজের পাশাপাশি গ্যাসলাইন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রকৌশলী রজব আলী বলেন, “বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কয়েক ঘণ্টা দেরি হলেও, রোববার বসানো হয় রেল স্ল্যাবের শেষ দুটি। এতে স্বপ্নের সেতু চলাচল উপযোগী হতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।”তিনি জানান, রেল স্ল্যাবের পূর্ব প্রান্তে গ্যাস লাইন স্থাপনে চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপ লাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে। চীন থেকে রওনা হওয়া গ্যাস পাইপ চলতি মাসেই পৌঁছানোর কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সড়ক ও রেল যোগাযোগের পাশাপাশি পদ্মা সেতুর গ্যাস লাইনে গ্যাস সুবিধা পাবেন দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষ।

এরই মধ্যে সেতুর ১ হাজার ৩১২টির সবকটি রেলওয়ে স্টেনজার বসে গেছে। তাই সেতুর নিচতলা দিয়ে হেঁটেই মাওয়া থেকে জাজিরা যাওয়া সম্ভব।

২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে রেল স্ল্যাব বসানো শুরু হয়েছিল। প্রকল্প এলাকায় তৈরি করা কংক্রিটের স্ল্যাবগুলো প্রায় পৌনে ৩ বছরে বসিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

৪২ ফুট চওড়া স্প্যানের উপর তলায় ৭২ ফুট প্রস্থের ফোর-লেনের সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। আর নিচ তলায় ১৭ ফুট প্রস্থের রেললাইনের সব কটি স্ল্যাব বসনো সম্পন্ন হয়েছে।

নিচলায় রেল লাইনের বাইরে দুই পাশে বিস্তর জায়গা থাকছে। পূর্বপাশে গ্যাস পাইপ বসানো হলেও পশ্চিম পাশে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ইন্টারনেট লাইন অপটিক্যাল ফাইবার বসানো ছাড়াও থাকবে সার্ভিস লাইন।

এছাড়া সেতু প্রকল্পের সাথেই ন্যাশনাল গ্রিড লাইন স্থাপন করা হয়েছে। সেতু থেকে অনেকটা দূরের লাইনে পদ্মা দিয়েই জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চল। বহুমুখী এ সেতু ঘিরে বদলে যাচ্ছে গোটা অঞ্চলের দৃশ্যপট।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতু দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। আর ২০২১ সালের ১ মে সেতুর দুই প্রান্তের ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সেতু দৃশ্যমান হয়।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!