খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিল বিএনপি ও জামায়াত
  শ্রম আইন লঙ্ঘন : স্থায়ী নয় ২৩ মে পর্যন্ত জামিনে থাকবেন ড. ইউনূস
  ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস-পিকআপ ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৩
কে‌সি‌সি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হতো না

বি‌শেষ প্রতি‌নি‌ধি

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হতো না।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে হয়। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। তিনি একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন বলেই আজ এই পদ্মা সেতুর মতো একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

সেতুর বিষয়ে সর্বপ্রথম তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালে রূপসা সেতুর কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সে সময় মন্ত্রীসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমরা যদি এ সেতুর কাজ শুরু করতে পারি, তাহলে আগামী ২০০৭ সালের মধ্যে এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বিএনপি- জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এ সেতু বাস্তবায়নে অনীহা প্রকাশ করে। তারা তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রীর মাধ্যমে সেতুর স্থান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। এই ঘটনায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন মানুষ আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্টে বিশাল মানববন্ধন হয়। আন্দোলনের কারণে তখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বলতে বাধ্য হয় পদ্মা সেতু হবে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তারা সেতু বাস্তবায়নের জন্য কোনো কার্যক্রম শুরু করেনি।

কেসিসি মেয়র বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেন। সে সময় তিনি বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থার সঙ্গে আলাপ করলে, তারা এই সেতুতে অর্থ জোগান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই একপর্যায়ে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থ দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এখানে যাতে সেতু বাস্তবায়ন না হতে পারে, সে জন্য বিশ্বব্যাংকসহ দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এক পর্যায়ে কানাডার এক আদালতে দুর্নীতির একটি মামলাও হয়। সে মামলায় এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি প্রমানিত হয়নি বলে আদালত রায় দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত হয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ২০১২ সালে এই সেতু হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সে সময় অনেকেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। অনেক অর্থনীতিবিদ ও পন্ডিত বলেছিলেন, এই সেতু করা সম্ভব না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা করে দেখিয়েছেন। দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব। নতুন করে আবার ২০১৫ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন কোটি মানুষের দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বপ্ন সেই পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতু যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কী প্রয়োজন তা আর ভাষায় বলে শেষ করা যাবে না। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্যে ব্যাপক গতিশীলতার সৃষ্টি হবে। এ অঞ্চলের মানুষসহ দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এ অঞ্চলের দুটি বন্দর মোংলা ও পায়রা আরও গতিশীল হবে। বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে মোংলা বন্দর অচল করে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার এসে মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন এবং ইপিজেড করেছে। ফলে মোংলা এখন দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!