খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খন্দকার মোশতাক ও জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তখনই কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে অগাধ ভালবাসতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল যে দেশের মানুষের জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন সে দেশের মানুষ তাকে হত্যা করতে পারে না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকরা সে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেনি। জাতির জনক’কে হত্যার মাধ্যমে তারা তাঁর আদর্শকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।’ কিন্তু বাংলাদেশ যতদিন থাকবে জাতির জনকের আদর্শ ততদিন সমুন্নত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সিটি মেয়র রবিবার সকালে নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংক ও রোটারী ক্লাব অব খুলনা প্যারাগন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও রোটারী ইন্টা: ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১’র ডেপুটি গভর্ণর চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা কমিশন গঠন এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীচক্র তাঁর বিরুদ্ধে নানা গুজব ও অপপ্রচার চালাতে থাকে। কার্যত তারা খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘যড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বটে কিন্তু তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শকে আমাদেরকে লালন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান ও রোটারী ইন্টা: ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১’র এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ট্রেইনার ডেজিগনেট ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান খান। স্বাগত বক্তৃতা করেন রোটারী ক্লাব অব খুলনা প্যারাগনের সভাপতি রোটা: বিশ্বজিৎ দে মিঠু।
অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, এস.এম মোজাফফর রশিদী রেজা, সাবেক সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর হালিমা ইসলাম, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, খুলনা শিল্প ও বনিক সমিতির পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মোঃ আবু হানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, আওয়ামীলীগ নেতা এ.কে.এম শামীম রচি প্রমূখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম