খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  দাবদাহ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৭ দিন
  চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

শার্শায় বিজিবি সদস্য ও চোরাকারবারী হত্যা মামলার চার্জশিট, অভিযুক্ত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট সীমান্তে বিজিবি-পুলিশের উপর বোমা হামলা ও বিজিবি সদস্য আকমল হোসেন এবং চোরাকারবারী সুজন হত্যা মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। একইসাথে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দু’জনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, শার্শার কাগমারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শিমুল হোসেন ওরফে শিমুল আক্তার, মুছা করিমের ছেলে আশিক হোসেন ওরফে আশিকুর, রুহুল আমিনের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে আবু বক্কার সিদ্দিক ও অগ্রভুলোট গ্রামের মৃত মজুম গাজীর ছেলে শাহ আলম গাজী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় ২১ বিজিবি পুটখালীর একটি দল নিয়মিত টহলের উদ্দেশে পাঁচভুলোট গ্রামের ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। এরমধ্যে পুর্বদিক থেকে আসা চার ব্যক্তির দুটি ব্যাগ হাতে দেখে বিজিবি সদস্যদের সন্দেহ হয়। তারা কাছাকাছি এলেই একজন একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় ফেলে যাওয়া ব্যাগে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বিজিবি সদস্য আকমল হোসেন গুরুতর আহত হন। এসময় বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অগ্রভুলোট গ্রামের অজিত মোড়লের আমবাগানে বিজিবি ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এসময় চোরাকারবারীরা বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে আটক আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিজিবি ও পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় সুজন নামে এক চোরাকারবারী গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে আমবাগান থেকে ৩শ’ বোতল ফেনসিডিল, ২শ’ ৩ পিছ ইয়াবা ও দুই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

রাতেই চোরাকারবারী সুজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়। অন্যদিকে ২৯ জুলাই ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে বিজিবি সদস্য আকমল হোসেনও মারা যান।

এ ঘটনায় ২৭ জুলাই বিজিবির সুবেদার মুন্সি লাবলুর রহমান বাদী হয়ে আটক আসামিসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।

এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যা ও বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটক সিরাজুল ইসলাম গাজী ও সাইদুল ইসলাম ঝন্টুর অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!