খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

শহীদ জিয়ার আদর্শে বলীয়ান মানুষ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ : মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ নভেম্বর) নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

এতে নেতৃবন্দ বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। তারা বলেন,স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীনমহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে আধিপত্যবাদের প্রসারিত ছায়ার নীচে দেশকে ঠেলে দেয়। আর এটি করা হয় শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য। সেইজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে বিভীষিকাময় শাসন চালু করা হয়। দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একটি মাত্র দল বাকশাল গঠন করা হয়। ফলে দেশে চরম অশান্তি ও হতাশা নেমে আসে। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালের ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। এই অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী স্বত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। বিদেশি শক্তির এদেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে আবারো বিদেশি শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হওয়া শিখ-ি সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে জোর করে আঁকড়ে ধরেছে। সরকারের নতজানু নীতির কারনেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। গোপন চুক্তি সম্পাদন করে আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রভূত্ব কায়েমের বেপরোয়া কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ভোটারবিহীন এই সরকার জবরদস্তির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তারা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতা-কর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে নির্দয় ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে পৈশাচিকভাবে পিষ্ট করছে। আর নির্যাতনের এই অব্যাহত ধারায় ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। দেশনেত্রীর মুক্তির মাধ্যমেই গণতন্ত্রের মুক্তির পথ অবারিত হবে। ভোটারবিহীন সরকারের নতজানু নীতির কারণেই আমাদের আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর চলছে বাধাহীন আগ্রাসন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।

মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, শেখ মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু, মুজিবর রহমান, শরিফুল ইসলাম বাবু , সভায় উপস্থিত ছিলেন, স,ম আঃ রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, কামরুজ্জামান টুকু, ইকবাল হোসেন খোকন, মো. শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, নিজামউর রহমান লালু, জালুমিয়া, শাহিনুল ইসলাম সাদী, আঃ রকিব মল্লিক, ওহেদুজ্জামান রানা, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুসিদ কামাল, একরামুল কবির মিল্টন, সুলতান মাহমুদ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, কামরান হাসান, নিয়াজ আহম্মেদ তুহিন, নাজমুল সাকিব পিন্টু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, আবুল বাসার চৌঃ নাজমুল হুদা সাগর, আবু সাঈদ শেখ, শাহনাজ ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া, স ম আলম, শরিফ নাইমুল হক, ঃ সালাম, জসিল উদ্দীন লাবু, নাজির উদ্দীন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, শক জামিরুল ইসলাম, আবু সাঈদ আব্বাস, বদরুল আলম খান, আহসানউল্লাহ বুলবুল, জহর মীর, আঃ লতিফ, অধ্যাপক ওহেদুজ্জামান, তারিকুল্লাহ খান, শরীফুল আলম, শামসুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, এনামুল হাসান, ডায়মন্ড, আফসার মাস্টার, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, ইসহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দীন মন্টু, আকরাম হোসেন খোকন, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাউদ্দীন মিজু, মহিউদ্দীন টারজান, ইমতিয়াজ আলম বাবু, জাকির হোসেন, মোস্তফা কামাল, আলমঙ্গীর হোসেন, মেহেদী হাসান সোহাগ, আসলাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, আঃ আলীম, শামসুল করিম পান্না শহিদুল ইসলাম বাদল, রাহাত আলী লাচ্চু, বাচ্চু মীর, তানভিরুল আজম রুম্মান, মো. আলী, মাজেদা খাতুন, সিদ্দিকুর রহমান, হুমায়ুন কবির, মনিরুজ্জামান মনি, গাজী মাসুদ, ফকরুল ইসলাম বুলু, আসাবুর রহমান পাইলট, এনামুল হক সজল, আনজিরা খাতুন, আবুল কালাম লস্কর, এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, জাবীর আলী, হেমায়েত হোসেন, মনিরুজ্জামান লেলিন, জুলকার নাইম, লিটু পাটেয়ারী, শাকিল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম,শাহাবুদ্দীন, কাওসারী জাহান মজু, কাকলী আক্তার, ইসমতআরা কাকন, আবু বক্কর, মুন্নি জামান, মাসুম বিল্লাহ, মোল্যা নাসির, মিসেস রেহানা ইসলাম, মিসেস মনি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মহানগর ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা আব্দুল গফফার। এর আগে সকালে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!