খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট
  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
  বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন মামলা নেই : প্রধানমন্ত্রী
  জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে

গেজেট ডেস্ক

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি)। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)  এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির ১৯ বা ২০ তারিখকে ভোটগ্রহণের দিন চূড়ান্ত করে  ৪ বা ৫ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্াচন কমিশনে এমন প্রস্তুতি চলছে বলে সংস্থাটির সূত্র জানিয়েছে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে যে সংসদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে, ওই সংসদের মেয়াদে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতির মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে পদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

ইসি দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে। তারা ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে। তফসিল ঘোষণার উপযোগী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইসির পরিকল্পনা ছিল। তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদের ছয়টি আসনের উপনির্বাচনের কারণে তারা কিছুটা সময় নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ভোটের পর নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেওয়ার পরপরই তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তফসিল ঘোষণা হবে। অবশ্য আইন অনুযায়ী এক বা একাধিক সংসদীয় আসন শূন্য থাকলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইনগত কোনও বাধা নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেও দুটি সংসদীয় আসন শূন্য ছিল।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটগ্রহণের দিন সংসদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। ওই সাক্ষাতে স্পিকারের বিভক্তি নম্বরসহ ভোটার তালিকাও যাচাই করা হতে পারে। জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে স্পিকারের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ফেব্রুয়ারির ৩/৪ তারিখে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের সময় চূড়ান্ত হতে পারে। সাক্ষাতের পর ওইদিন বা তার পরদিন হতে পারে তফসিল। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিল, যাচাই ও প্রত্যাহারের সময় খুব কম দিয়ে সংক্ষিপ্ত তফসিলে ভোট হতে পারে।

অবশ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একক প্রার্থী হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনায় নির্বাচন কমিশনকে ভোটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। কেবল আনুষ্ঠানিকতার জন্যই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, রবিবার (১৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের কমিশন সভা থাকলেও ওই সভার এজেন্ডায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টি নেই। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আমরা ভোটার তালিকা তৈরিসহ প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তবে নির্বাচনের তফসিল হবে এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা আমরা পাইনি।

জানা গেছে, সংসদের চলতি অধিবেশনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অধিবেশন ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিদ্ধান্ত থাকলেও এই মেয়াদ বাড়তে পারে। কার্যউপদেষ্টা কমিটির প্রধান ও জাতীয় সংসদের স্পিকার তার ক্ষমতা বলে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো বা কমানোর এখতিয়ার রাখেন। কার্যউপদেষ্টা কমিটি তাকে এই ক্ষমতা দিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে তার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাতের বিষয়ে এখনও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এখনও সময় আছে। নিশ্চয়ই তারা যোগাযোগ করবেন।

দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রণীত ১৯৯১ সালের আইন ও বিধিমালার আলোকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেয়াদ পূর্ণ, মৃত্যু কিংবা পদত্যাগ ও অপসারণের কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে থাকে। এর আগে প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ১৯৯১ সালের ২ জুলাই সংবিধানের ১২তম সংশোধনীতে পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুসারে সংসদ-সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

সংবিধান অনুযায়ী ৩৫ বছর তা তারও বেশি বয়সী এবং সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য যেকোনও ব্যক্তিই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে সংসদ সদস্য থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময়ও তার সঙ্গে একজন সংসদ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয় ওই বছর ২৪ জানুয়ারি। ‍পরদিন ২৫ জানুয়ারিই তফসিল ঘোষণা হয়েছিল। তখন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!