খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এসবির রিপোর্টার নিহত
  চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সভায় বক্তারা

‘রাজনৈতিক দল ও ইসির সদিচ্ছা থাকলে ইভিএমে ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন সম্ভব’

গেজেট ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ভোট প্রয়োগের পদ্ধতির স্বচ্ছতার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেশি শক্তির হাত থেকে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের মানুষের চেষ্টা ও সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণের সদিচ্ছা প্রতিফলনই হলো ইভিএম উদ্ভাবনের লক্ষ্য। নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার একটি সঠিক ও স্বচ্ছ নির্বাচন সহায়ক পদ্ধতি। ভারত, ব্রাজিল, ভূটান, ভেনিজুয়েলায় সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ফ্রান্স, পেরুসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এই সকল দেশে ইভিএম ভোটারদের সনাক্ত করতে সক্ষম নয়, তবু নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে অধিক নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ করতে সমর্থ্য হয়েছে। বাংলাদেশের ইভিএম ভোটার সনাক্ত করতে সক্ষম, যা অন্য কোন দেশের ইভিএম পারে না। ফলে এই মেশিনে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছে মতো যত খুশি ভোট দেওয়া যাবে না। তেমনই একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও ব্যবহৃত ইভিএমে নির্বাচনের মূলমন্ত্র “আমার ভোট, আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব”শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব। ভোটারের উপস্থিতি ছাড়া ভোট দেওয়া যায় না বিধায় ইভিএম-এ ভোট হলে ভোটারদের প্রকৃত উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই নির্বাচনে অনাস্থা দূরীকরণে ইভিএম-এর ভূমিকা অপরিসীম এবং রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে ইভিএম এর মাধ্যমে স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।

এজন্য নির্বাচন কমিশনকে সুদৃঢ় এবং দায়িত্বশীল হয়ে তাদের উপর অর্পিত ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ করতে হবে। কমিশনের কাজে কোন ধরণের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। অপরপক্ষে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনের সময় তাদের পোলিং এজেন্ট প্রদান সাপেক্ষে যথাযতভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদেরও সচেষ্ট থাকতে হবে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের উদ্যোগে আজ ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, সুষ্ঠ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনঃ নাগরিক প্রত্যাশা” শিরোনামে গোল টেবিল বৈঠকে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আহসান উল্লাহ, উপ-উপাচার্য ড. আহমেদ আবুল কালাম আজাদ, বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুন নূর দুলাল, ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইভিএম বিশেষজ্ঞ ড. মাহফুজুল ইসলাম, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ, লেখক-গবেষক ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো: আজাদুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: ইকবাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি পর্যবেক্ষক সংস্থা যথাক্রমে- সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, নব জাগরণ সংস্থা, আদর্শ পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, খুলনা মুক্তি সেবা সংস্থা, হাইলাইট ফাউন্ডেশন, রেক বাংলাদেশ, দরিদ্র ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস (সউপ), ইয়ুথ ফর ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন, এল.আর.বি ফাউন্ডেশন, ফোরাম ফর ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, অগ্রদূত, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ডিপি, যুব উন্নয়ন সংস্থা, এসো জাতি গড়ি, অর্গানাইজেশন ফর সোস্যাল এডভান্সমেন্ট (উষা), মিতু সিতু এডুকেশন এন্ড চ্যারিটেবল, রূপনগর শিক্ষা সংস্থা, ভোলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন, এসোসিয়েশন ফর রাইট এন্ড পিস্, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ, ফোরাম ফর ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন, ইচ্ছে ঘুড়ি ফাউন্ডেশন, এসো জাতি গড়ি বাংলাদেশ (এজিবি), সেবা সোসাল ফাউন্ডেশন, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!