খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙামাটির সাজেকে শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক পাহাড়ের খাদে পড়ে ৯ জন নিহত

যশোরে হত্যা ও সোনা চোরাচালান মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের কৃষক শাহাজাহান হত্যা ও সোনা চোরাচালানের পৃথক দুটি মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের দুটি আদালত। মঙ্গলবার সিনিয়র দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক ও বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক পৃথক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন আলম বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের ছেউদ উদ্দিন ও পালক পিতা মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং জিহাদ আলী সরদার সাদিপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার তাহাজ্জত আলী সরদারের ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত দু’জনই বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী ও বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলের সাদীপুর গ্রামের কৃষক শাহাজাহান একই গ্রামের আলমগীরের কাছে ধারের ১০ হাজার টাকা পেতেন। এ পাওনা টাকা চাওয়ায় আলমগীর ক্ষিপ্ত হয় শাহাজাহানের উপর। ২০০৮ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি শাহাজাহান গ্রামের পশ্চিম মাঠের জামিতে পানি দিতে যান। শাহাজাহান মাঠে যেয়ে দেখেন আলমগীরও তার জামিতে পানি দিচ্ছেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহাজাহান জমিতে পানি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তার কালভাটের উপর পৌঁছালে আলমগীর ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরমধ্যে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে আলমগীর ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে ইউসুফ আলী বাদী হয়ে আলমগীরকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই বছরের ৪ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওমর শরীফ। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আলমগীর হোসেন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি সকালে চৌগাছার ৪৯/বি শাহজাদপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদিপুর গ্রামের মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে একব্যক্তি মসজিদের সামনে এসে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। আটক জিহাদ আলী সরদারের দেহ তল্লাশি করে হাফপ্যান্টের পকেটে রাখা ১০ পিছ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন এক কেজি ১৬৬ গ্রাম। এ ব্যাপারে বিজিবির নায়েক সুবেদার আব্দুল মালেক বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। এ মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি জিহাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!