জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে রহিম ও নুরআলম হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার উদ্যোগ নেয় মোংলা পৌর বিএনপি। এ কর্মসূচিকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকে মাদ্রাসা রোডসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এছাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকার আলীর বাস ভবনের সামনেও ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করার জন্য আমরা সোমবার ২৯ আগস্ট সকালে প্রস্তুতি নেই,কিন্তু সকাল থেকেই আমার বাসার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া লোকজন যাতে এ প্রোগ্রামে না আসতে পারে সেজন্য বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ যুবদল ও ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী সহ অন্য আরেক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া ৫/৬ কর্মীকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পৌর বিএনপির সহ- সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর এমরান হোসেন বলেন একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য আমারা প্রশাসনের অনুমতি ও সহযগিতা চাইলে তা পাইনি, গতোকাল রাত থেকে আমার বাড়ি সহ যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল সহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে। এবং সকাল থেকেই পুলিশের উপস্থিতে সরকার দলীয় নেতা কর্মিরা দেশীয় লাঠি চটা নিয়ে শহরের মেইন মেইন সড়কে অবস্থান নেয়। এবং মটরসাইকেলে মহড়া দিতে থাকে।
পুলিশ আমি সহ আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ নেতা কর্মিদের নামে মিথ্যা নাশকতা মামলা দায়ের করেছে আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন গনতন্ত্র ও সাধারন মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আন্দোলন করে যাবো কোন ধরনের হামলা মামলা দিয়ে আমাদের দাবিয়ে রাখা যাবেনা।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন,গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে সোমবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে