খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
  কিশোরগঞ্জে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
  জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো : প্রধানমন্ত্রী

মাধ্যমিকের ১১টি বইয়ের পাঠ্যসূচিতে আসছে পরিবর্তন

গেজেট ডেস্ক

করোনার মধ্যেই এ বছর বিভিন্ন শ্রেণীর বিনামূল্যের বইয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ১১টি বইয়ের পাঠ্যসূচিতে নতুন কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনটি শ্রেণীর আনন্দ পাঠ বা দ্রুত পঠন (রেপিড বই) বাতিল করে সেখানে নতুন বিষয়বস্তু যুক্ত করে নতুন নামের বই মুদ্রণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিকের নতুন বইয়ের কভার পেজের ভেতরের দুই অংশে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ওপর বাছাইকৃত ৭২টি স্থিরচিত্র (ছবি) সংযোজন করা হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, গত বছর যখন বিনামূল্যের বই মুদ্রণের জন্য পাঠ্যসূচি চূড়ান্ত করা হয় তখনি নতুন এসব বিষয় পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যদিও করোনার কারণে চলতি বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শেষ করে সময়মতো সেগুলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে এনসিটিবির তদারকিতে বই ছাপার কাজের অগ্রগতি হলেও এখন ছাপানো বই যথাসময়ে পৌঁছানো নিয়েই সংশয় রয়েছে।

সূত্র মতে, আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিকের মোট ১১টি বইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এগুলো হলো- ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর ইংরেজি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস। এই তিন বিষয়ের আছে মোট আটটি বই। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর আনন্দপাঠ বা দ্রুতপঠন বইগুলো নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া নবম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ বই পরিবর্তন করে সহজ পাঠ করা হচ্ছে।

এনসিটিবির মুদ্রণ শাখা থেকে জানা যায়, চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৬ কোটি নতুন বই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মুদ্রণকৃত বই বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো শুরুও হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতি বছরের মতো এবার কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব করা সম্ভব না হলেও যথাসময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, বিভিন্ন সময়ে যুগের সাথে সঙ্গতি রেখেই পাঠ্যসূচিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এ বছর করোনার আগেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের বাস্তবতার সাথে মিল রেখেই পাঠদান করতে হয়। সেই জন্যই সময়ে সময়ে পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়। পাঠ্যবই ছাপা ও তা জেলা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে তিনি জানান, পাঠ্যপুস্তক তৈরিতে প্রেসগুলো এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ৩০ শতাংশ বই পাঠানো হয়েছে। নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রাথমিকের শতভাগ বই পৌঁছে যাবে। একই সাথে গত সপ্তাহ থেকে জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিকের বইও পাঠানো শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে মাধ্যমিকের শতভাগ বই পৌঁছে দেয়া যাবে।

উল্লেখ্য, এনসিটিবি থেকে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৩৬ কোটি বই তৈরি করা হয়েছে। যথাসময়ে বই তৈরির কাজ শেষও করেছে এনসিটিবি। এ ছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছাতে সব ধরনের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। দেশে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের জন্য মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ২৫ কোটি পুস্তক এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ১০ কোটিরও বেশি কিছু পুস্তক তৈরি করা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!