খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

মাগুরায় সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার

গে‌জেট ডেস্ক

মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের জগদল গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনায় অন্তত সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুপক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় দুপক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। স্থানীয় নজরুল ইসলাম গ্রুপের একজন অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে সবুর মোল্লার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইমরান হোসেনকে খুন করেছে। অন্যদিকে সবুর মোল্লা গ্রুপের সৈয়দ আলী বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে নজরুল ইসলামের সঙ্গে মিলে আমাদের দলের তিন জনকে হত্যা করেছে।

তবে কোন দলের লোক, কারা আগে হামলা করেছে- সে বিষয়ে পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জগদল মাঝিপাড়া এলাকার এক গ্রামবাসী বলেন, নজরুল মেম্বার চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। মূলত সৈয়দ ইসলামকে মেম্বার প্রার্থী করার কারণেই চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের তিন জনকে হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মতামত জানতে একাধিকবার কল করা হলেও তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী দুপক্ষই স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের জগদল গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও সবুর মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি সবুর মোল্লা আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে তার সমর্থক সৈয়দ আলীকে সদস্যপ্রার্থী ঘোষণা দেন। মূলত এ নিয়েই তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সবুর গ্রুপের প্রধান সবুর মোল্লাসহ তিন নিহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাগুরা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রতিপক্ষের একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- সবুর মোল্লা (৫৫), কবির মোল্লা (৬৬), রহমান (৬০) এবং ইমরান (৩০)। নিহত ইমরান নজরুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর আলম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত সাত/আট জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনই বলা যাচ্ছে না। পুনরায় যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সে কারণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপক্ষ থেকেই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!