যশোরের মণিরামপুর থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ছয় চরমপন্থির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার মামলারতদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজেশ কুমার দাস আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলার পুরানো বাজার এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে বাসুদেব সাহা ওরফে মাহামুদুর রহমান ওরফে কিরণ, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের সহদেব বিশ্বাসের ছেলে অজয় বিশ্বাস, পাঁচকাটিয়া গ্রামের নির্মল পাড়ের ছেলে পলাশ পাড়ে, পাড়দিয়া গ্রামের আরাধন রাজবংশীর ছেলে সুব্রত কুমার রাজবংশী, অভয়নগর উপজেলার কচুয়া গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের ছেলে সাধন বিশ্বাস ও পশ্চিম বারান্দি এলাকার মোহন্ত দাসের ছেলে অনুপম দাস।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার উত্তম সরকার হত্যাকান্ডে জড়িত তিন চরমপন্থি পলাশ পাড়ে, সাধন বিশ্বাস ও অজয় বিশ্বাসকে আটক করেন ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত বানছা বিশ্বাসের ছেলে বিশ্ব বিশ্বাসের মাছের ঘেরের টোঙ ঘরের পাশে লুকিয়ে রেখেছেন। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ ফেব্রুয়ারি সেখানে তল্লাশি চালিয়ে লুকিয়ে রাখা দু’টি পাইপগান এবং ২২ বোর রাইফেলের দু’ রাউন্ড তাজা গুলি ও তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে চরমপন্থি নেতা কিরণসহ সুব্রত কুমার রাজবংশী ও অনুপম দাসের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ কারণে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ছয়জনকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই রাজেশ কুমার দাস।
খুলনা গেজেট/এসজেড
