খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ব্রাজিলে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় দেশটিতে চলছে গণগ্রেপ্তার। আর এর মধ্যেই দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যেই ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের প্রধানকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালানোর পর ব্রাজিলের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের পর ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের সাবেক কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস বলেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেস-সহ এবং অন্যান্যরাও রয়েছেন। তবে টরেস দাঙ্গায় কোনও ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন।

এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালানোর পরে পুলিশ কমান্ডার কর্নেল ফাবিও অগাস্টোকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

প্রবীণ বামপন্থি নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই এই দাঙ্গা শুরু হয়।

বিবিসি বলছে, দাঙ্গার পরে গ্রেপ্তারকৃত প্রায় ১৫০০ জনকে পুলিশ একাডেমিতে আনা হয়। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনকে পৃথক জায়গায় নেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা পাঁচ দিন সময় পাবেন।

এর আগে মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার সাবেক জননিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ডারসন টরেসের বিরুদ্ধে ‘কাঠামোগত নাশকতা অভিযান’ পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। ব্রাসিলিয়াতে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে নিযুক্ত রিকার্ডো ক্যাপেলি বলছেন, সরকারি ভবনেগুলোতে হামলার আগে টরেসের ‘কমান্ডের অভাব’ ছিল।

এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিচার মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অ্যান্ডারসন টরেস।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট লুলাও ব্রাসিলিয়ায় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব ‘অবহেলা’ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া দাঙ্গার জেরে জাইর বলসোনারোর সম্পদ জব্দ করার জন্য সরকারি আইনজীবীরা মঙ্গলবার দেশটির একটি ফেডারেল অডিট আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

ব্রাজিলের সদ্য সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ব্রাসিলিয়ায় দাঙ্গার নিন্দা করেছেন। অবশ্য গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনের পরাজয় এখনও স্বীকার করেননি তিনি। গত ১ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

এরপর গত সোমবার বলসোনারো পেটে ব্যথা নিয়ে ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। বেশ কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল ছেড়েছেন।

বিবিসির দক্ষিণ আমেরিকা সংবাদদাতা কেটি ওয়াটসনের মতে, কিছু বিক্ষোভকারী শুধু বলসোনারো নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নন – তারা চান প্রেসিডেন্ট লুলা কারাগারে ফিরে যাক।

জাইর বলসোনারো গত অক্টোবরের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে খুব শান্ত হয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে পরাজয় স্বীকার না করে, বলসোনারো তার সবচেয়ে কট্টর সমর্থকদের গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ করে রেখেছিলেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট হামলার নিন্দা করেছেন এবং সহিংসতা শুরু হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরে টুইটারে দেওয়া একটি পোস্টে দাঙ্গাকারীদের উৎসাহিত করার দায়ও অস্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার বলসোনারোর ছেলে এবং ব্রাজিলের সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো বলেছেন, তার বাবাকে দাঙ্গার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। কারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে নীরবে ‘কষ্ট পাচ্ছেন তিনি’।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!