খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
  বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন মামলা নেই : প্রধানমন্ত্রী
  জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

বাগেরহাটে ৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ, ন্যায্য দামে খুচরা বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটে অবৈধভাবে মজুদ করা ৫ হাজার দুইশ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (১১ মে) দুপুরে বাগেরহাট শহরের নাগের বাজার ও তেল পট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তেল জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে মজুদের দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জব্দ তেলের মধ্যে বোতলজাত ৫৬০ লিটার তেল গায়ের দামে খুচরা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া ড্রামে ডেলে রাখা অবশিষ্ট তেল দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেষ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

জব্দ তেলের মধ্যে পাঁচ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা, ২ লিটার ৩৩৫ টাকা এবং ৮ লিটার ১২৮০ টাকা করে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।

তেল ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে বর্তমানে বোতল জাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ১৫২ টাকা দরে আমি ৫ লিটার তেল কিনেছে। এতে প্রায় আমার ২৫০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এভাবে যদি মাঝে মাঝে সরকারি কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন, তাহলে আমাদের কিছুটা উপকার হয়।

রহিমা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে তেল কিনতে আসলে দোকানিরা যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত দামও দিতে হয় তাদের। আজ কম দামে তেল কিনতে পেরে খুব ভাল লাগছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, অবৈধভাবে তেল মজুদের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫ ধারায় তেলপট্টি এলাকার মেসার্স শ্রী ভান্ডারকে ৭০ হাজার, মেসার্স সুভাষ চন্দ্র পালকে ১০ হাজার এবং পাল এ্যান্ড সন্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই তিন ব্যবসায়ী গুদাম থেকে ৫ হাজার ২‘শ লিটার তেল জব্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা জানতেন যে ঈদের পরে তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। এর কারণে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ক্রয়কৃত তেল অবৈধভাবে মজুদ করে রেখেছিল তারা। এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির জন্য বোতলজাত তেল ড্রামে ঢেলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করার জন্য মজুদ রেখেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তেল মজুদের সত্যতা পাওয়া যায়।

এর আগে চিলতমারী, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন বাজারে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে অবৈধ মজুদদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!