খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

বাগেরহাটে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ, এক সপ্তাহে ভর্তি ২৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটে হঠাৎ করে শীত পড়ায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। প্রতিদিন জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে জেলা হাসপাতালে আসছেন অভিভাবকরা। জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৯‘শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বহির্বিভাগে। অতিরিক্ত রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, ঠান্ডাজনিত কারনে বেড়েছে বয়ষ্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা। গেল কয়েক দিন ধরে জেলা হাসপাতালে ধারণক্ষমতার দিগুনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। গেল এক সপ্তাহে প্রায় ২৫০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত একশ শয্যার বিপরীতে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ৩৬ জন শিশুসহ মোট ২৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

শাহিদা বেগম নামরে এক নারী বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমার ছেলের জ্বর। ঔষধ খাওয়াইছি, কিন্তু কোন উপকার হয়নি। যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

২ মাস তেরদিন বয়সী শিশু ইব্রাহিম কে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মা হালিমা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর, সর্দি ও কাশি। এখানে ভর্তি হলে ডাক্তাররা এক্সরে করতে বলেছে। এক্সরেতে দেখা গেছে ছেলের বুকে কাশি জমে শুকিয়ে গেছে। সুস্থ্য হতে সময় লাগবে।

পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ বলেন, হঠাৎ করে ঠান্ডায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলাম। তাই সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন কিছুটা ভাল।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকা সীমা আলো হালদার বলেন, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই শিশু রোগীরা ভর্তি হচ্ছে। অনেক বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা রাজিয়া নাসের জেলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, আমাদের ২৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও জনবল রয়েছে একশ শয্যার। এই অবস্থায় রোগীর চাপ থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগীর প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনডোর ও আউটডোর দুই জায়গাতেই জ্বর, সর্দি, কাশি, নিমোনিয়াসহ নানা ধরণের রোগী আসছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৯শ’ থেকে এক হাজার রোগীকে সেবা প্রদান করে থাকি। আসলে স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে এই সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। হাসপাতালে বিদ্যমান জনবল বৃদ্ধি পেলে রোগীদের আরও বেশি সেবা প্রদান করতে পারবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!