চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই বান্ধবীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুই বান্ধবী উপজেলার একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) সকালে অভিযুক্ত দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দাখিল করেছে ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের দুই বন্ধুর সঙ্গে ভুক্তভোগীর দুই বান্ধবীর পরিচয় হয় ৪ মাস আগে। সেই থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে এক বন্ধু মোবাইলের মাধ্যমে ডাক দেয় দুই বান্ধবীকে।
তারা বাড়ির বাইরে বের হলে ওই বন্ধু মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় উপজেলার হারদী মাঠের নির্জন বাঁশবাগানে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল তার আরেক বন্ধু। এরপর তারা দুই বন্ধু তাদের নিজ নিজ প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে।
পরে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার দুই বান্ধবীকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে তারা। মঙ্গলবার সকালে দুই বান্ধবী আলমডাঙ্গা থানায় তাদের নিজ নিজ প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায় তাদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে দুই ভিকটিমের ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বুধবার বয়স নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হবে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই বন্ধু তাদের দুই প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে। তারা চারজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের শিকার দুই বান্ধবী আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলেনা গেজেট/ এস আই