খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫
  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহত ১

প্রত্যেকবার খাবার পরে ১০০ কদম হাঁটার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

খাওয়ার পরপরই হাঁটতে হবে? কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর হাঁটবেন নাকি একেবারে হাঁটবেন না? এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুসারে, প্রতিটি খাবারের পরে গুণে গুণে ১০০ পা হাঁটা বিভিন্ন উপায়ে হজম এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। আধুনিক মেডিসিন গবেষকরাও এই এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে খাবারের পরে ১৫ মিনিট হাঁটা খুবই উপকারী।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব জেনারেল মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের ঠিক পরে আধঘণ্টা হাঁটলে যত তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যায় খাওয়ার এক ঘণ্টা পর হাঁটলে তা হয় না।

যে কোনও খাবারের পর ১০০ কদম বা ১৫ মিনিট হাঁটা কীভাবে স্বাস্থ্য পরিবর্তন করতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে তা জানানো হয়েছে ’হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে।

হজমে সাহায্য করে : আয়ুর্বেদ অনুযায়ী খাওয়ার পরে হাঁটা খুব ভালো। এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। খাবারে থাকা শক্তিগুলি শরীরের সঙ্গে মিশে যেতে সাহায্য করে। যে কোনও খাবারের পর মাত্র ১০০ পা হাঁটলেই খাবার পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে আরও দ্রুত প্রবাহিত করতে সাহায্য করে। এর ফলে গ্যাস, বদহজমের মতো সমস্যা কমে।

বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি: খাবার পরে ১০০ পা হাঁটলে বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়। এর ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির কার্যকারিতার উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

খাবারের পরের অলসতা দূর করে : দুপুরের খাবারের পরে অনেকের ঘুম পায়। গবেষকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি খাওয়ার পরে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন কারণ তাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন থাকার ফলে বেশি সেরোটোনিন তৈরি হয়। খাওয়ার পর হাঁটলে এই সমস্যাটি দূর হতে পারে।

ওজন কমায়: রাতের খাবারের পরে ১০০ কদম হাঁটা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ হাঁটলে ক্যালোরি ঝরে। সামগ্রিক সুস্থতার জন্যও হাঁটা উপকারী।

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ : এটি প্রমাণিত যে খাবার পরে মাত্র ১০০ পা হাঁটলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি গ্লুকোজের ব্যবহারকে উন্নত করে। রক্তে শর্করার বৃদ্ধি হ্রাস করে। আর ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে বা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের জন্য এই পদ্ধতি বিশেষ সহায়ক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!