খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

পাইকগাছায় ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে মামলা

শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা

পাইকগাছায় ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ডাক্তার সেজে প্রসূতিকে ভুল সিজারে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলাটি দায়ের করেছেন, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাাঁটাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী। তিনি ঘটনায় সোমবার ক্লিনিক মালিক তাপস মিস্ত্রী ও অনিমা তরফদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে জান যায়, গত ১৯ এপ্রিল তার অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী ফতেমা খাতুনের প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্থানীয় প্রাইভেট প্রাকটিশনার আব্দুল সালামের পরামর্শে স্ত্রীকে নিয়ে পাইকগাছা পৌর সদরের অনিমা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। এরপর ক্লিনিকে কোন ডাক্তার না থাকায় পরিচালক তাপস মিস্ত্রী ও অনিমা তরফদার নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। প্রথমত তাদের নরমাল ডেলিভারীর প্রচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ায় রোগীর অবস্থা দূর্বল হয়ে পড়ে।

এ সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় একপর্যায়ে তারা পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সুজন সরকার ও ডাক্তার নিতীষকে ডেকে অপারেশন (সিজার) করে অর্ধমৃত অবস্থায় বাচ্চা প্রসব করান। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটি মারা যায়। এসময় তার স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে ডাক্তার সুজন সরকার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে তার স্ত্রী ফতেমা খাতুন সুস্থ্য হলে তিনি এ ঘটনায় গত সোমবার (৯ মে) পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

এ বিষয়ে অনিমা ক্লিনিকের পরিচালক তাপস মিস্ত্রির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে ‘হাসপাতালের ডাক্তার সুজন সরকার ও ডাক্তার নিতীশ গোলদার এ অপারেশনটি করেন।

এ বিষয় ডাক্তার সুজন সরকার বলেন, ‘এলাকার সালাম নামে একজন গ্রাম্য ডাক্তার রোগীর জরায়ুর মুখ খোলার জন্য ইনজেকশন দেয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক হলে তাকে ক্লিনিকে নেওয়া হয়। এরপর তিনি ও ডা: নীতিশ রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক তাকে খুলনায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তবে রোগীর সাথে থাকা অভিভাবকদের অনুরোধে তারা অপারেশন হলেও নবজাতককে বেশিক্ষণ বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর জরুরী অবস্থায় তারা রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ মামলার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার মন্ডল বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!