খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
  ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট
  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

পাইকগাছার ইব্রাহীম হত্যা মামলার প্রধান আসামী ওবায়দুল্লাহ আটক

পাইকগাছা প্রতিনিধি

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ডোবা থেকে উদ্ধারকৃত ইব্রাহীম মোড়ল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ওবায়দুল্লাহ জোয়াদ্দার(৫২) কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর বর্তমানে বান্দিকাটি এলাকার ওহাব জোয়াদ্দারের ছেলে। বুধবার (৪ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমানের নের্তৃত্বে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আলীম মামলার অপর আসামী উপজেলার খাটুয়ামারী বেতবুনিয়া আবাসনের বাসিন্দা আকবর ফকির (৩৯ কে উপজেলার আদালত সংলগ্ন মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে আটক করেছিল।

প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে পাইকগাছা থানা পুলিশ উপজেলার কপিলমুনির সলুয়া এলাকার একটি মাঠের মধ্যে ডোবা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে ইব্রাহীমের লাশটি উদ্ধার করে। পরে তার বড় ভাই ইসমাইল হোসেন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ও ছবি দেখে লাশটি তার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করে। ইব্রাহীম মোড়ল তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের কাচের আলী মোড়লের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ক্ষেত মালিক আছাদুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনাস্থল নিজ ক্ষেত পরিচর্যায় সেখানে গিয়ে ডোবায় ভাসমান লাশটি দেখে প্রথমে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ও পরে থানা পুলিশে খবর দেন। পরে বেলা ১১ টার দিকে থানা ফুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এরপর মিডিয়ায় লাশের পরিচয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে থানা পুলিশ লাশের পরিচয় প্রকাশ করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-৪, তারিখ ০৬/১১/২১ ইং।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আলীম জানান, মামলায় দীর্ঘ তদন্তে প্রথমে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আকবর ফকিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ২২ ডিসেম্বর পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এতে ঘটনায় ওবায়দুল্লাহর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত ও ভ্যান চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঘটনার দিন তারা দু’জন ইব্রাহীমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে একজন তার পা ও অপরজন গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশটি ওই ডোবায় ফেলে দেয় বলে জানিয়েছিল। এরপর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তবে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। সর্বশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতারে সমর্থ হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!