খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনতে হবে। যে দলের সদস্য হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করবে সে গঠনতন্ত্রেও ৪৭ অনুচ্ছেদের ১১ ধারা এবং মনোনয়ন বোর্ডের অঙ্গিকারনামার স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিজেই দল থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবে। সুতরাং যারা দলের সুবিধা ভোগ করে নিজেরাই দলের গঠনতন্ত্র, অঙ্গিকারনামার স্বীকারোক্তিকে অস্বীকার করছে তারা দলের নিয়মনীতি ও শৃংখলা ভঙ্গ করেছে। ওই সকল প্রার্থীরা আর দলের দায়িত্বশীল পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তারা স্বেচ্ছায় বহিষ্কৃত, সে যদি সহযোগী সংগঠনের সদস্যও হন তাহলে গঠনতন্ত্র ও মনোনয়ন অঙ্গিকারনামার স্বীকারোক্তি মোতাবেক স্বেচ্ছায় বহিষ্কৃত। তার সাথে দলের কারো কোন সম্পর্ক থাকবে না।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যোগীপোল ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগে দল তারপরে ব্যক্তি। যারা দলের কথা মাথায় রাখবে না তাদের ব্যাপারে দলও কোন সহানুভূতি দেখাবেনা। সুতরাং যারাই বিদ্রোহীদের সাথে যাবে তারাও ওই একই আওতায় আসবে। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিজয় করতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারসহ কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
এসময়ে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বেগ লিয়াকত আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইউনুস আলী, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা স. ম রেজওয়ান, শেখ সৈয়দ আলী, শেখ আবিদ হোসেন, এস এম আনিছুর রহমান, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, ইউসুফ আলী খলিফা, মো. মফিজুর রহমান জিবলু, মোড়ল হাবিবুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, শাহীন জামান পন, মোড়ল জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহেল সরদার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলের নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে মিষ্টি খাইয়ে দুই ইউনিয়নে আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেয়া হয়। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার করেন সকল নেতৃবৃন্দ।