খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

নদীতে জোয়ারের পানি বাড়লে তলিয়ে যায় গুচ্ছগ্রাম

কয়রা প্রতিনিধি

নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে কয়রা নদীর চরে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত গুচ্ছ গ্রামের বাউন্ডারি (পানি রক্ষা) বাঁধ ভেঙে রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫৬ পরিবার পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ২৬ মে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘুর্নিঝড় ইয়াসে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাউন্ডারি বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়। তখন গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা নিজেরাই বাউন্ডারি বাঁধ নির্মাণ করেন। ইয়াসের ১ বছর অতিবাহিত হলেও উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। ক্ষুদ্ধ গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা।

গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা বাবু বলেন , নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়। নিজেদের সহাই সম্ভল রক্ষা করতে নিজেরাই মেরামত করি। গতবার ইয়াসে বাঁধ ভেঙে আমার ঘরে পানি চলে আসলে সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেই। নিজেরা বাঁধ নির্মাণ করে আমার নতুন করে ঘরে বসবাস শুধু করি আবার ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।

রমজান বলী শেখ বলেন, আজ দুপুরের নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুই জায়গায় বাঁধ ভেঙে গর বাড়ি তলিয়ে গেছে। নদীতে একটু জোয়ার বেশি হলে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে। আমরা নিজেরাই তখন পানি আটকানোর চেষ্টা করি। গত বছর ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধ ভেঙে সব কিছু ভেসে যায় কোন রকমে সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেই। এরপর নিজেরা বাঁধ মেরামত করে বসবাস শুরু করি।

ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম খোকা বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে গুচ্ছ গ্রামের বাউন্ডারির বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে ভাটি লাগায় বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। সকালের ভাটিতে আশা করি বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!