খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো : প্রধানমন্ত্রী
  সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২

দেবহাটায় ঘুমন্ত শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাই গ্রেপ্তার

গে‌জেট ডেস্ক

সাতক্ষীরার দেবহাটায় স্ত্রীর ডিভোর্স নোটিশ পেয়ে সাবেক শ্বশুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যারর ঘটনায় সালাউদ্দিন সানা (২৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, গত ২২ জুন রাতে নিজ বাড়িতে আজগর আলীকে (৫৫) কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নিহতের সাবেক মেয়ের জামাই সালাউদ্দিন সানাকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন সানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, নিহত আজগর আলী আসামির আপন খালু এবং দ্বিতীয় শ্বশুর। সে প্রথমে ২০১৫ সালে একটি বিয়ে করে ও ২০১৮ সালে আপন খালাতো বোন শিল্পী পারভীনকে (২২) বিয়ে করে। দিনমজুর সালাউদ্দিন বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী পারভীনকে মারধর করতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুন রাতে স্ত্রী পারভীনকে মারপিট করে, খবর পেয়ে পারভীনের বাবা আজগর আলী মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তখন সালাউদ্দিন যৌতুকের দাবি করলে আজগর এক লাখ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তাৎক্ষণিক নগদ টাকা না দিলে পারভীনের সঙ্গে সংসার করবে না বলে হুমকি দেয়।

তখন সালাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ে পারভীনকে নিয়ে বাড়ি চলে যান আজগর আলী।

তিনি বলেন, এর ফলে আজগর আলীর উপর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করতে থাকেন সালাউদ্দিন। সে অনুযায়ী ২১ জুন রাতে বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত আজগরকে দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২২ জুন ভোরে তিনি মারা যান।

জানা যায়, আজগর আলীর ছোট মেয়ে শিল্পী খাতুনের সঙ্গে সালাউদ্দিনের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। সালাউদ্দিন বেকার হওয়ায় বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিল্পীকে প্রায়ই নির্যাতন করত। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। এরপরও নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় মেয়েকে বাড়িতে এনে সালাউদ্দিনের ঠিকানায় তালাকনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সালাহউদ্দিন।

পরে ২১ জুন রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আজগর আলীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায় সালাউদ্দিন। এরপর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান আজগর আলী।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!