খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সড়কে ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
  চাঁদপুরের হবিগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও শিশুর মৃত্যু
  নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি

দিঘলিয়ায় ২ মেয়েসহ প্রাক্তন ইউপি সদস্য হামলার শিকার

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

পারিবারিক বিরোধের জেরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের প্রাক্তন মহিলা সদস্য ও তার ২ মেয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে।

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বারাকপুর ইউপি’র প্রাক্তন মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম টেলিফোনে এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী লাল মিয়া মল্লিক ১৯৯৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে এক প্রকার অহসায় হয়ে পড়ি। ৪ কন্যার লেখাপড়া, ভরণপোষণের পাশাপাশি স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির দেখাশুনার দায়িত্বসহ সংসারের সকল সমস্যা একাই সামলাতে থাকি। এ ক্ষেত্রে আমার ভাসুরদের পরিবারের পক্ষ থেকে কখনও কোন সহযোগিতা পায়নি। বরং গত ৩/৪ বছর থেকে আমার বড় ভাসুরের ছেলেরা আমাকে আমার স্বামীর ভিটা থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র করে আসছে। জমিজমা নিয়ে ইতিপূর্বে মামলা হয়েছে। বিরোধের জের ধরে ইতিপূর্বে আমি এবং আমার ৪ মেয়ে তাদের হাতে একাধিকবার লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি।

সর্বশেষ আজ বুধবার (১১ মে) সকালে আমার জমির উপর ১টি ঘর তুলতে গেলে আনুমানিক ১০ টার সময় আমার বড় ভাসুরের ২ ছেলে এবং তাদের স্ত্রী এবং তিন ছেলে মিলে আমার বাড়ির ভীতর প্রবেশ করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় তারা আমাকে এবং আমার অপর ২ মেয়ে শিউলী (২৬) এবং যমুনা (২৪) কে মারধোর করে আমার ২ মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আশেপাশের লোকজনের হস্তক্ষেপে তারা শান্ত হয়। খবর পেয়ে দিঘলিয়া থানা এবং কামারগাতী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে। বর্তমানে আমার দুই মেয়ে আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরী খুলনা গেজেটকে বলেন, ঘটনার সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। এখনো পর্যন্ত উভয়পক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হায়দার আলী মোল্যা এ প্রতিবেদককে বলেন, সকালে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোলের কথা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উভয় পক্ষকে জমি জমার কাগজপত্র দেখিয়ে সালিশের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার আহবান জানাই।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মর্জিনা বেগম তার ভাসুরের ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের জন্য দিঘলিয়া থানায় অবস্থান করছিলেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!