খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

দিঘলিয়ায় ১২ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য তৈরী হচ্ছে ‘বীর নিবাস’

একরামুল হোসেন লিপু, দিঘলিয়া

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ১২ জন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ১ কোটি ৬১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘বীর নিবাস’। ইতিমধ্যে কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। মেসার্স জামাল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লটারির মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে কার্যাদেশও হাতে পেয়েছেন।

জানা যায়, সরকার সারাদেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রেরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেন।

দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধােদের আবাসন প্রকল্প নির্মাণের সিলেকশন কমিটির সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম গত অক্টোবর মাসে ১৮ জনের নামের প্রস্তাবনা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। ১৮ জনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ১২ জনের নাম অনুমোদন করে। তারা হলেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আঃ লতিফ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মন্টু বিশ্বাস, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর ইসলাম সরদার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মঞ্জুরুল আলম, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজাহার আলী, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কায়সেদ শেখ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল জব্বার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জালাল উদ্দিন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সাহেব আলী।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় অত্র উপজেলায় মৃত ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কেটি ৬১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা। প্রতিটি আবাসন নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লক্ষ ৪৩ টাকা। আবাসন নির্মাণের পর এসব ঘরের নাম দেয়া হবে ‘বীর নিবাস’ ঘরগুলো নির্মাণের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস হয়। ১১ অক্টোবর দরপত্র গ্রহণের শেষ দিনে মোট ৭৭ জন ড্রপিং করে। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে মেসার্স জামাল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) উপজেলা পিআইও অফিস থেকে ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে।

জানা যায়, পর্যায়ক্রমে সরকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা দূরীকরণের জন্য বীর নিবাস তৈরী করে দিবে। এ সংবাদে দিঘলিয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ‍্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!