খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

কোরিয়া ভিত্তিক জার্ণালের গবেষণা

দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ নদীর পানি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ অঞ্চলের ১৭ নদীর পানি দূষিত হওয়ার কারণে মাত্রাতারিক্ত ভারি ধাতু মানবদেহে প্রবেশ করায় এ অঞ্চলের মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। দূষণের বিরুদ্ধে প্রয়োগহীন আইনী ব্যবস্থা নিঃশেষ করেছে এ নদীগুলো। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। দূষিত নদীর পানি পান করে গবাদি পশুর মৃত্যুও হচ্ছে।

কোরিয়া ভিত্তিক জার্ণাল ‘হিলন’ এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দক্ষিণের নদীগুলোর ৪০ বছরের দূষণচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সচিব মঞ্জুরুল কাদের গেল মাসে খুলনা জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালীর শিববাড়িয়া, বরগুনার খাকদোনা, ঝিনাইদহের কুমার, বরিশালের কীর্তণখোলা, সুগন্ধা, লোহালিয়া, তেতুলিয়া, খুলনার রূপসা, ভৈরব, ময়ূর, বিলডাকাতিয়া, পশুর, শরিয়তপুরের পদ্মা, কুষ্টিয়ার মাথাভাঙ্গা, গড়াই, মধুমতি, সাতক্ষীরার কাকশিয়ালি নদী দূষণের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে। নদীগুলোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শিল্প কলকারখানা। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও অনিয়ন্ত্রিত শিল্প কারখানাগুলোই নদী মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ শিল্প কারখানার রাসায়নিক ও ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত অপরিশোধিত দূষিত বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি মারাত্মক দূষণ হচ্ছে। নদীগুলোতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, তেল, গ্রীজ, পয়ঃবর্জ্য, গৃহস্থলী বর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা বিষাক্ত হচ্ছে।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নদীতে শিল্প দূষণে জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদের জন্য ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ নদীর পানি আলকাতরা সদৃশ্য আবার কোথাওর পানি রংধনূর মত। এ অঞ্চলের জনগণ সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে। হারিয়ে যাচ্ছে জলজপ্রাণি, মৎস্য ও জীববৈচিত্র।

বাংলাদেশ ইনভায়রণমেন্টাল ল ইয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন বেলা’র পক্ষ থেকে আইনজীবী এস হাসানুল বান্না জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, দূষণ ও দখলমুক্ত করার জন্য আদালতের রায় অনুযায়ি অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে নদী সুরক্ষা, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও শ্রীবৃদ্ধি হবে। নৌযান চলাচল সহজ হবে। পরিবেশ দূষণ ও দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

 

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নদী কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নদী দূষণকারী প্রতিষ্ঠান এবং দখলকারী ব্যক্তিদের তালিকা নদী কমিশনে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট-এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!