খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ৬ দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিলে মঞ্জু

তরিকুল ইসলাম ছিলেন একজন আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, তরিকুল ইসলাম ছিলেন একজন আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ। মাটি মানুষের প্রতি অঙ্গীকার থেকে যারা রাজনীতি করেন, তাদের জীবন ধারায় সাফল্য ব্যর্থতা আর জেল-জুলুমের যে পর্বগুলো অনিবার্য হয়ে উঠে তরিকুল ইসলামেরও তাই।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক আমলে জন্ম নেয়া তরিকুল ইসলাম পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের শিক্ষা জীবনকালে আদর্শবাদী রাজনীতির প্রধান অ্যাজেন্ডা ছিল বৈষম্য ও শোষণমুক্তি। ছাত্রজীবনেই তিনি সেই রাজনীতিতেই দীক্ষা নেন। ১৯৬৩-১৯৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে মাইকেল মধুসূদন কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬২ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজের জরাজীর্ণ শহীদ মিনার মেরামত করতে গেলে তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে গ্রেফতার করে। এরপর ১৯৬৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করে নয় মাস রাজশাহী এবং যশোরে কারাভোগ করেন তরিকুল ইসলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় আবারো কারাভোগ করেন তিনি। এরশাদ শাসন এবং ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময়ও কারাবরণ করতে হয় তাকে।

সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরো বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ভাবধারার প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন তরিকুল ইসলাম। বাম ছাত্র রাজনীতির মাঠকর্মী থাকার পর রাজনৈতিক জীবনে স্থানীয় নেতা, সেখান থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নীতিনির্ধারক হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন তরিকুল ইসলাম। মওলানা ভাসানীর রাজনীতির বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার সাথে শোষণমুক্ত সমাজ কাঠামোকে একাত্ম করে তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা। ভাসানী আবুজর গিফারী র:-এর বিশ্বাস এবং মাও সে তুং-এর শোষণমুক্তির রাজনীতি থেকে নিজের কর্মপ্রেরণা নিয়েছিলেন। এই মজলুম জননেতা সারা জীবন কাটিয়েছেন সংগ্রাম ও জনগণের কাতারে থেকে। তরিকুল ইসলাম যখন যশোর এম এম কলেজের ছাত্রনেতা ছিলেন, তখন মওলানার সেই আদর্শ তার গভীর মন ও মননে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তরিকুল ইসলাম বিএনপি সরকারের সময় তথ্য, সমাজকল্যাণ, রেল ও যোগাযোগ, টিঅ্যান্ডটি, খাদ্য এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ কেবিনেটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থনীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন আর মাঠ রাজনীতির অভিজ্ঞতার সমন্বয় নিয়ে মন্ত্রণালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিতে পেরেছেন যশোরের এই জননেতা। মন্ত্রী থাকাকালে এবং বিরোধী রাজনীতির সময় তার শয়নকক্ষে বা হাসপাতালের কেবিনে শিয়রের পাশে বসে গল্প করা বা আলোচনার সুযোগ হয়েছে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমার মনে হয়েছে, এই জননেতা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে অনেক গভীরভাবে বুঝতে পেরেছিলেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীবাদী দল (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। সাবেক মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র খোকা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন ভয়ঙ্কর গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন সফল রাজনীতিবিদ ও জননেতা আমৃত্যু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে অবিচল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত ছিলেন। সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন খোকা। হয়ে উঠেন একজন গেরিলা যোদ্ধা থেকে সফল জননেতায়। বিএনপির চরম ক্রান্তিকালে তরিকুল ইসলাম ও সাদেক হোসেন খোকার ভূমিকা ছিল অনুসরণীয় অনুকরণীয়। রাজনীতির সংকটকালে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তারা ভুল করতেন না।

নগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওয়াহিদুজ্জামান রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, আমির এজাজ খান, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মািনরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আশরাফুল আলম নান্নু, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, মেহেদী হাসান দিপু, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজামউর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, মুজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, কাজী মিজানুর রহমান, ওয়াজউদ্দিন সান্টু, গোলাম কিবরিয়া আশা, নাজির উদ্দিন নান্নু, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আকরাম হোসেন খোকন, ইসাহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, ফরিদ উদ্দিন মানিক, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, আসলাম হোসেন, নাসির খান, কাজী মাহমুদ আলী, শামসুল বারী পান্না, শেখ সারাফাত হোসেন, ওহেদুজ্জামান মান্না, খন্দকার ফারুক হোসেন, তানভীর আলম রুম্মান, আব্দুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম লিটন, সাইমনি ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মাদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরে আব্দুল্লাহ, ডা. ফারুক হোসেন, খান মইনুল ইসলাম মিঠু, লিটু পাটোয়ারি, শাকিল আহমেদ, শেখ হেমায়েত হোসেন, আব্দুস সালাম,আব্দুল মান্নান,আবু সাইদ, জামাল মোড়ল, সেলিম বড়মিয়া, ডা. হালিম মোড়ল, ডা. আব্দুস সালাম, মনিরুজ্জামান মনি, মনিরুল ইসলাম,শামীম আশরাফ, রেহেনা ইসলাম, আমির হোসেন মিঠু, নাছিমা আক্তার পলি, মনিরুজ্জামান লেলিন, এনামুল হক সজল, ফারুক আহমেদ, মাছুম বিল্লাহ, হারুন গাজী, হেলাল হোসেন, রায়জিদ হোসেন, ইমরান হোসেন প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!