খুলনা জেলা কারাগারসহ দেশের সব কারাগারে প্রতিনিয়ত বন্দীর চাপ বাড়ছে। বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী অবস্থান করছে কারাগারে। প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন আসামি। জামিনে ছাড়া পাচ্ছেন কম। যার কারণে বন্দির সংখ্যা বাড়ছে।
তবে কারা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, হিসাব অনুযায়ী এখনো কারাগারে বন্দীর ধারণক্ষমতা স্বাভাবিকের মধ্যেই রয়েছে।
কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো: মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, আজকে (সোমবার) পর্যন্ত গাজীপুরের কাশিমপুরের একমাত্র মহিলা কারাগারসহ দেশের ৬৮ কারাগারে মোট বন্দী অবস্থান করছে ৮৩ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দী ৮০ হাজার ৫৯৪ জন আর মহিলা বন্দী ৩ হাজার ২২৪ জন। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী কারাগারগুলোতে অবস্থান করছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ৬৮ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৪২ হাজার ৮৬৬ জন। সেই হিসাবে ৮০-৯০ হাজার পর্যন্ত বন্দী থাকলে সেটিকে স্বাভাবিক বন্দীর ধারণক্ষমতা হিসেবে ধরা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কারা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৯১২ সালে ভৈরব নদের তীর ঘেষে ৬ দশমিক ৩০ একর জমির ওপর খুলনা জেলা কারাগার স্থাপিত হয়। কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৬০৮ জন। সোমবার সেখানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বন্দি ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরতাল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ২৮ অক্টোবর থেকে সোমবার খুলনা মহানগরী ও জেলার থানাগুলোতে ১৬টি থানায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কারোরই জামিন হয়নি।
অবশ্য খুলনা কারাগারের জেলার এ জি মাহমুদ বলেন, খুলনা জেলা কারাগারে এক সময় ২০০০/২৪০০ বন্দি ছিলো। সেই তুলনায় এখন বন্দি অনেক কম। ধারণক্ষমতার বেশি বন্দি হলেও তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।