খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে
  চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিট স্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু
  দাবদহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৫ দিন, খুলবে ২৮ এপ্রিল

জ্বলছে সুন্দরবন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট (ভিডিও)

মাসুদুল হক, বাগেরহাট

বাগেরহাট সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০৩ মে) দুপুরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের পরপরই মোরেলগঞ্জ ও শরণখেলা ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে এখনও আগুন জ্বলছে ওই এলাকায়। সাড়ে চার ঘন্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

স্থানীয় সিপিজির টিম লিডার লুৎফর রহমান বলেন, সুন্দরবনে আগুন লাগলে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আমরা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহন করি। এর আগেও আমরা ১৫-২০জন সিপিজি সদস্য সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। আজও আমরা আগুন নেভানোর কাজে অংশ গ্রহন করেছি। আশাকরি খুব দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারব।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখেলা রেঞ্জের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এলাকাবাসী বনের মধ্যে আগুনের ধোয়া দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেছি। সিপিজি সদস্য, গ্রামবাসী, বন বিভাগের ভোলা ও ধান সাগর ক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আনুমানিক দেড় থেকে দুই একর বন জুড়ে আগুন জলছে। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আগুনের চতুর্দিকে বেজ (ক্যানেল) কাটার কাজ চলছে।

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, প্রাকৃতিক কারণেই আগুন লেগেছে। সুন্দরবনের মধ্যে শুকনো পাতার স্তুপ রয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় প্রাকৃতিকভাবে এই আগুন ধরেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বাগেরহাটের উপ-সহকারী পরিচালক মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ স্টেশনের ২০জন সদস্য কাজ করছে। ওই এলাকায় ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। পানির উৎস পাওয়া গেছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

সুন্দরবন সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, সুন্দরবনে বার বার আগুন লাগার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আগুন লাগার ঘটনাগুলো স্পষ্টভাবে জানা যায় না। যখনই আগুন লাগে তখনই দায়সারা গোছের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগুন লাগার মূল রহস্য উদঘাটন হওয়া জরুরী। ভবিষ্যতে যাতে আগুন না লাগে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন আমাদের মায়ের মত সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির কারণ আমাদের জানার অধিকার রয়েছে। সুন্দরবনের এই অগ্নিকান্ড মানবসৃষ্ট কিনা তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের দাসের ভারানি এলাকায় অল্পকিছু জায়গায় আগুন ধরেছে। যে এলাকায় আগুন ধরেছে ওই এলাকায় সুন্দরী গাছের পরিমান কম। ফায়ার সার্ভিস ও বন কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও আগুন লাগার কারণ জানানো হবে বলে জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!