খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল সাতক্ষীরায় কাটানো দিনগুলো : প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় কাটানো দিনগুলো জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল। যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে বলব সাতক্ষীরায়।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে স্মৃতিবিজড়িত সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ পরিদর্শন শেষে কলেজের শিক্ষক মিলনাতয়নে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এ সময় প্রধান বিচারপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রধান বিচারপতি একদিনে হইনি, এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অমলিন হয়ে থাকবে চিরকাল।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম আমি। সে সময়ে ক্লাসের ফাঁকে কলেজের লেকে যেয়ে বসে থাকা, বরই খেতে খেতে বন্ধুদের সাথে গল্প করা, এগুলো সবই ছিল জীবনের রঙিন ইতিহাস। সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান না হলেও জীবনের রঙিন সময় গুলো এখানে কাটিয়েছি।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে যাওয়ার আগে, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষক অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আবদুল ওয়াদুদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান বিচারপতি নিজে তার বাসায় যান। পরবর্তীতে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আসেন প্রধান বিচারপতি। এসময় শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে কলেজের সমগ্র এলাকা ঘুরে দেখেন সরকারি কলেজ মাঠে নিজ হাতে একটি নারিকেল গাছের চারা রোপন করেন। এসময় প্রধান বিচারপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিচারপতির কাছের বন্ধু ও শিক্ষকগণ।

প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে এসে পৌছালে কলেজের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে তাঁকে মানপত্র প্রদান করেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ হেল হাদী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দীকির কলেজ শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, তাঁর ক্লাসমেট কুমিরা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্রনাথ দাসসহ কলেজটির শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সরকারি কলেজের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক অলিউর রহামন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ১৯৭৪ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এখান থেকেই তিনি আইএসসি (বর্তমানে ইন্টারমিডিয়েট) পাশ করেন। এরপর বিকাল ৩ টায় তিনি সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে একটি বিশ্রামগার উদ্বোধন করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে এসে পৌছান। এসময় তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খানসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এরপর প্রধান বিচারপতি বেলা সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টে ‘ন্যায় কুঞ্জ’ নামে একটি বিশ্রামাগার উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, সাতক্ষীরা ল কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাড. এসএম হায়দার, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. গোলাম মোস্তফাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান বিচারপতি এ সময় বলেন, আমি প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে আদালতের মামলা জট কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা ফাইলিং ও নিস্পত্তির হার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাতে প্রায় আড়াইগুনসহ ২৯টি জেলায় কেস ফাইলিংয়ের চেয়ে মামলা নিস্পত্তির হার বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাস্ট্রের মালিক জনগণই। তারা যেন আদালতে এসে বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আপনারা বিচার বিভাগকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করবেন।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!