গরুর মাংসের অস্বাভাবিক দামের কারণে অনেকে বয়কট করেছিলেন। সারা দেশে পণ্যটির বিক্রি কমে গিয়েছিল।
বয়কট বা কেনা কমিয়ে দিলেও অনেকেই ভুগছিলেন মনোকষ্টে। এবং এর একটা জুতসই সমাধানও বের হয়ে গেল।
খুলনায় এবং খুলনার বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমার চেনা পরিচিতদের সূত্রে খবর পেলাম তারা জোটবদ্ধ হয়ে রীতিমতো হাটে গিয়ে দরদাম করে পছন্দসই গরু কিনছেন এবং জবাই করে নিজেরা রেশিও অনুযায়ী মাংস ভাগ করে নিচ্ছেন।
এতে বাজারের দামের চাইতে অনেক কম দামে তারা মাংস পেয়েছেন। আমার এক রিলেটিভ কৃষকের বাড়ী থেকে এড়ে গরু কিনেছিলেন। ভাগ বন্টনের পরে দেখা গেল তাদের কেজি প্রতি দাম পড়েছে ৬৪৫ টাকা।
তবে ক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তনের বিষয়টি কসাই ও হাটে হাটে দায়িত্বরত দালাল ফড়িয়ারা ধরে ফেলেছে। ফলে জনগণের সৃষ্টি ক্ষণস্থায়ী পজেটিভ সিন্ডিকেটকে পরাস্ত করতে গরুর খামারী আর হাটের দালালরা জোটবদ্ধ হয়েছে বলে বাজারের চরিত্র বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে।
অনলাইনে মাছ মাংস সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে এমন কিছু তরুণ উদ্যোক্তার সাথে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তারা বলছে, ঈদকে সামনে রেখে খুলনা অঞ্চলের হাটের চেহারাই বদলে গেছে। বিক্রেতারা প্রতিটি গরুর অস্বাভাবিক দাম হাকছেন। আমরা একটা দাম বলছি। এর মধ্যে দালাল শ্রেণী এসে আমাদের চাইতে বেশি দাম বলছে।
তখন বিক্রেতারা বলছেন, আপনার চাইতে বেশি দাম বলছে, তাও তাদের দিচ্ছিনা। গরু কিনতে গেলে যা বলেছেন তার চাইতে আরও বেশি বাড়াতে হবে।
হাটে বিক্রেতাদের হাকা দামে গরু কিনলে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি করতে হবে ৯০০ টাকায়। এমতাবস্থায় অনেকেই চাহিদা কমিয়ে দিয়েছেন। যিনি ৫ কেজি মাংস কিনতেন, তিনি এখন কিনছেন ৩ কেজি।
আজ খুলনার বাজারে ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও আগামীকাল দাম বেড়ে ৮০০ তে পৌঁছাতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের আশংকা।
আপাতত ক্রেতারা চাপে পড়লেও তারাও সিন্ডিকেট বানাতে শিখে গেছে। এটাই বড় শান্তনা। সাধারণ জনগণ আগামীতে আরও কৌশলী হয়ে ২০/২৫/৩০ জন মিলে একটা গরু কিনবে। নিজেরাই জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নেবে। যার দাম পড়বে বাজারের চাইতে প্রতি কেজিতে অন্তত একশ/দেড়শ টাকা কম। (ফেসবুক ওয়াল থেকে)