খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙামাটির সাজেকে শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক পাহাড়ের খাদে পড়ে ৯ জন নিহত

জামিন পেয়ে বাদীর দুই পা গুড়িয়ে দিল আসামিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে ফিরে মামলার বাদী মাওলনা গোলাম মোস্তফার দুই পা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে আসামিরা। সোমবার (১ মে) রাতে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের বড় গাবুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  এসময় হামলাকারীদের হাত থেকে পিতাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাওয়ায় ছেলে মুহতাদি শাহরিয়ার (১৪) ও স্ত্রী মাজিদা খাতুনকেও মারপিট করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গোলাম মোস্তফাকে মঙ্গলবার খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফা গাবুরা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মোড়লের ছেলে ও গাবুরা নিজামিয়া মাদ্রাসার সুপারিনডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
আহতের স্ত্রী মাজিদা খাতুন জানান, ঈদের দুই দিন আগে তাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় তার স্বামী বাদী হয়ে একই এলাকার সরোয়ার কাশেম আলী, কিবরিয়া, সরোয়ার, মিন্টু, আতিয়ার, মাকসু, আকবর কাগুচী, সবুজ ও শান্তসহ দশ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করলেও রোববার চার আসামি জামিন নেয় আদালত থেকে। এসময় মিন্টু ও জাফর আলীসহ জামিন পাওয়া আসামিরা বার বার মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়া সত্ত্বেও রাজি না হওয়ায় সোমবার রাতে বাদীর বাড়িতে গিয়ে  এই হামলা চালানো হয়।
মাজিদা খাতুন আরও অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্বামীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার সময় হামলাকারীরা বাঁধার সৃষ্টি করে। এমনকি শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও পুনরায় হামলার হুমকি পেয়ে তারা নিরাপত্তার স্বার্থে খুলনা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে গোলাম মোস্তফাকে ভর্তি করিয়েছেন। বিষয়টি ইতিমধ্যে শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত কাশেম আলী জানান, তারা এমন ঘটনার সাথে জড়িত না। জামিন নেয়ার পর তাদের লোকজন বাড়ির বাইরে যায়নি। কারা কিভাবে কেন গোলাম মোস্তফার দুই পা ভেঙে দিয়েছে বিষয়টি তাদের জানা নেই।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ   (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঈদের আগে দায়ের হওয়া মামলার বাদীর উপর হামলায় ঘটনা তিনি শুনেছেন। এ মামলার দুই আসামি কারাগারে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!