খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

জামানত দিলেই খুলনার ক্রিসেন্ট পাবে মিমো জুট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দু’বছরের ভাড়া অগ্রিম জমা দিলেই দেশের বৃহত্তম পাটকল ক্রিসেন্টের ইজারা পাবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মিমো জুট লিমিটেড। এ মাসেই বিজিএমসির সাথে বেসরকারী এ প্রতিষ্ঠানের চুক্তি সম্পাদন হবে। ভিন্ন আবহে ফেব্রুয়ারী থেকে মিলের উৎপাদন শুরু হবে। ক্রমাগত লোকশানের কারণে ২০২০ সালের ৩ জুলাই এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বৃহত্তম এ পাটকলের বয়স ৭০ বছর।

বিজিএমসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বলা হয়েছে, ক্রিসেন্ট জুট মিলের ইজারা পেয়েছে মিমো জুট লিঃ নামক একটি বেসরকারী পাটকল। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক খুলনার ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা। ২০ বছরের জন্য পাটকলটি বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য শর্তের মধ্যে অন্যতম ইজারা গ্রহীতারা পাট সম্পর্কিত পণ্য ছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে অন্য কোন পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না। ২৪ মাসের ভাড়া বিজেএমসির তহবিলে জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে। তারপর রাষ্ট্রায়ত্ব এ প্রতিষ্ঠান ইজারা গ্রহীতার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পাট ও বস্ত্র সচিব আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের জানান, এ মাসেই ক্রিসেন্ট মিলের ইজারা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এব্যাপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডারের সময়ই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সরকারের শর্তসমূহ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা মুন্সি রফিকুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন, প্রতিমাসের ভাড়া বাবদ ৮৮ লাখ ৫ হাজার ৫শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে ২৪ মাসের ভাড়া ২২ কোটি টাকা। জামানত জমা ও চুক্তি সাক্ষরের পর ইজারা গ্রহীতাকে মিল বুঝিয়ে দেয়া হবে। ইজারা গ্রহীতা কারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ পাবে, জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না।

অপর একটি সূত্র জানান উৎপাদন বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসে এ মিলের কর্মচারী, বিদ্যুৎ বিল, ওয়াসা ও টেলিফোন বিল বাবদ ১ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন সূত্র বলেছেন তারা যেকোন মূল্যে বেসরকারীকরণ প্রতিহত করবে।

খালিশপুরের গোয়ালপাড়া এলাকায় ১৯৫২ সালে এ মিল স্থাপিত হয়। ১১৩ একর জমির ওপর মিল স্থাপনে প্রথম পর্যায়ে বিনিয়োগ ছিল ১৫ লাখ টাকা। পাকিস্তানের শিল্পপতি আগাখান গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ, র‌্যালী ব্রাদার্স লিঃ এন্ড জেমস্ মেকলি এন্ড সন্স লিঃ-এর যৌথ অংশিদার ৫১ শতাংশ এবং পাকিস্তান সরকারের ৪৯ শতাংশ মালিকানায় ১৯৫৪ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার মিলটি জাতীয়করণ করে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!