খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে
  চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে প্রাণ গেল ১ জনের
  দাবদহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৫ দিন, খুলবে ২৮ এপ্রিল

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বসবাসের অনুপযোগী হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা

রুহুল কুদ্দুস, সাতক্ষীরা

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। একই সাথে নদ-নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীর গর্ভে। এতে সহায়-সম্পদ হারানোর পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট, চিকিৎসার অভাব, নারী-শিশুদের নিরাপত্তাহীনতা জীবনযাত্রা ও পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। উপকূলের এমন অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাতক্ষীরার উপকূলের বাসিন্দারা বলছেন, উপকূলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রার উন্নয়নে এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এলাকায় কাজ না থাকায় বাড়িতে নারীদের রেখে কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন পুরুষরা।

পরিবারের নারী-শিশুরা নানা নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার অনেকে সব কিছু হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে শহরে। পুরুষেরা রিক্সা ভ্যান চালিয়ে আর নারীরা গৃহকর্মীর কাজ করে কোর রকমে জীবিকা নির্বাহ করছে। অনেকে স্থানীয় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি ঘর মেরামত করে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করলেও ফের আরেক প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে টিকে থাকা মুশকিল হচ্ছে উপকূলের মানুষের।

সাতক্ষীরা উপকূলের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ঝুপড়ি ঘরে থাকেন সখিনা খাতুন। ১৬ বছর আগে স্বামী ছেড়ে চলে গেছেন। এখন স্থানীয় কাঁকড়া খামারে তিন হাজার টাকা বেতনে কাজ করে সংসার চালান ৪৬ বছরের এই নারী। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিধ্বস্ত হয়েছিল তার ঘর। স্থানীয় এনজিও থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঘরটি পুনরায় নির্মাণ করেন। ঋণ শোধ হওয়ার আগেই পরের বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ঘর।
আবারও ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঘর করেন। জুলাই মাসে খোলপেটুয়া নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘর। ভাঙা-গড়ার মধ্যে টিকে থাকার সংগ্রাম যেন তার নিত্যসঙ্গী। জীবনের গ্লানি টানতে টানতে এখন ক্লান্ত তিনি। অনেকটা উদ্বাস্তুর মতো জীবনযাপন করছেন। ভাঙা-গড়ার নিয়তিতে পড়েছেন সখিনার মা আলেয়া বেগমও। তার ঘরটি ভেঙেছে পাঁচবার। প্রতিবারই ঋণ নিয়ে ঘর করেছেন। এভাবে ঘর নির্মাণ করতে করতে তারা এখন নিঃস্ব, সর্বস্বান্ত।

শুধু সখিনা কিংবা তার মা আলেয়া বেগম নন, প্রতি বছর নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলবায়ু উদ্বাস্ততে পরিণত হচ্ছেন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপকূলের বাসিন্দারা। দিনদিন বাড়ছে উদ্বাস্তুর সংখ্যা। সহায়-সম্পদ হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। নেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এভাবে ক্রমেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকা।

সখিনা খাতুন বলেন, এ বছর বড় ধরনের ঝড় আসেনি। সেজন্য ঘরটি টিকে আছে। কিন্তু ঘরের কিছু অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় পড়ায় সরিয়ে নিতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। না হলে ভেঙে দেবে বলে নোটিশ দিয়েছে। ঘর সরাতে অনেক টাকা খরচ হবে। কিন্তু টাকা পাবো কোথায়?

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাঢী এলাকার সদানন্দ মন্ডল বলেন, আমাদের কষ্টের শেষ নেই। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আমার ঘর অনেকবার ভেঙেছে। ২০১৯ সালে ফণীতে বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আবারও ঘর তুলি। বছর না ঘুরতেই আম্পানের আঘাতে ভেঙে যায়। আবার ঋণ নিয়ে ঘর করলে পরের বছর ইয়াসে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এরপর আমার মামা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তার ঘরটি আমাকে দিয়ে যান। জুলাই মাসে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরটি। দুর্যোগে বারবার ঘর ভাঙে, বারবার ঋণ নিয়ে ঘর করি। ভ্যান চালিয়ে ঋণ শোধ করি। এভাবে জীবন চলে না। মন চায় অন্য জায়গায় চলে যাই। কিন্তু যাওয়ার জায়গা নেই।

প্রতাপনগরের হাওলদারবাড়ি এলাকার সাইদুল ইসলাম বলেন, আম্পানে আমাদের ঘরবাড়ি চলে গেছে নদীতে। শুধু আমার নয়, এলাকার অনেকের ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। আত্মীয়-স্বজন কারও ঘর নেই। আমার বড়ভাই খুলনায় চলে গেছেন। আমি এখন শ্বশুরবাড়িতে থাকি। কখন এই ঘর ভেঙে যায় সে আতঙ্কে আছি।
দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার মিজানুর রহমান বলেন, খরা, ঝড়, বৃষ্টি ও নদীভাঙন আমাদের নিত্যসঙ্গী। আইলার পর থেকে গোটা এলাকা উদ্ভিদশূন্য। লবণাক্ততার কারণে সব গাছ মারা গেছে। এলাকায় বসবাস করা খুবই কষ্টের। বাঁধের অবস্থা নাজুক। টেকশই বেড়িবাঁধ হলে পানি প্রবেশ করতো না। বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পুরো বছর সুপেয় পানির অভাবে থাকতে হয়। খুব খারাপ অবস্থায় আছি আমরা।

প্রতাপনগরের স্বেচ্ছাসেবক মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর দুর্যোগে এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। কোথায় গেছেন জানি না। এলাকায় কাজ নেই। সুপেয় পানির সংকট। মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়দের কাছে শুনেছি, এলাকার অনেকে খুলনা, নড়াইল ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছেন। যারা আছেন তারা খুব কষ্টের মধ্যে দিন পার করছেন।

প্রতাপনগরের বাসিন্দা ও গ্রাম্য চিকিৎস্যক আব্দুস সবুর বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর দুই বছর ধরে পুরো ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়িতে জোয়ার-ভাটা চলছিল। জোয়ার-ভাটার কারণে অনেকের বাড়ি খালে বিলীন হয়ে গেছে। সেসব মানুষ কোথায় চলে গেছেন জানি না, তারা আর ফেরেননি।

তিনি বলেন, সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে পুরো ইউনিয়নের মানুষ। লবণাক্ত পানিতে বসবাস করার ফলে চর্মরোগ, কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগ লেগেই আছে। লবণাক্ত পানির জন্য নারীদের অকাল গর্ভপাত ঘটছে। ফলে বাড়ছে না জনসংখ্যা। কৃষিজমি নেই বললেই চলে। যা আছে তাতে ফসল হয় না। গো-খাদ্যের চরম সংকট। চিংড়ি চাষে দেখা দিয়েছে মন্দা। এখানে মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু দাউদ ঢালী বলেন, আমার ইউনিয়নের একপাশে কপোতাক্ষ নদ আরেক পাশে খোলপেটুয়া নদী। দুই নদীর ২৫-৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অধিকাংশ এলাকা জরাজীর্ণ। প্রতিবছর নদীগুলোর পানি বাড়লেই লোকালয়ে ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। বাঁঁধগুলো ষাটের দশকে তৈরি। এরপর নামমাত্র সংস্কার হয়েছে। দুর্যোগে ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের ভেসে নিঃস্ব হয়ে যায় মানুষ। দুর্যোগের পর তারা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে, পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় বসবাস করবে, কোথায় যাবে এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে। ফলে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এখানে আশ্রয়কেন্দ্র নেই। স্থায়ী বাঁধ না হওয়ায় প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে উপকূল।

উপকূলীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, দিনদিন পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ছে। সে কারণে দুর্যোগও বাড়ছে। এসব দুর্যোগ বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে লবণাক্ততা বাড়ছে। মাছ চাষ, কৃষি ও চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে। এখানের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস চিংড়ি চাষ। অথচ এখন চিংড়ি চাষ কমে গেছে। বহু মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা বাড়ছে। এখানকার পুরুষরা তাদের সন্তান-স্ত্রীদের রেখে অন্য এলাকায় কাজের সন্ধানে চলে যাচ্ছেন। অনেকে এলাকায় ফিরছেন না। অনেক পুরুষ অন্য এলাকায় গিয়ে বিয়ে করে স্থায়ী হচ্ছেন। ফলে বোঝা টানতে হচ্ছে নারীদের। অনেক ক্ষেত্রে ওই পরিবারের নারীরা হয়রানির শিকার হন। এখানে বসবাসের জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে কয়েক বছর পর এসব এলাকায় মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিষদের আহ্বায়ক আশেক-ই-এলাহী বলেন, খুলনা-সাতক্ষীরা উপকূলকে বিশেষ দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। এই ঘোষণার ফলে সরকারের নজর পড়বে। সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য একটি কমিটি দরকার। যারা প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারকে দেবে। তার আলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে সরকার।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব পড়ছে উপকূলীয় এলাকায়। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা ও মাটির লবণাক্ততা উপকূলের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতের সময় অধিক শীত, গরমে প্রচন্ড গরম এবং বর্ষায় অতিবৃষ্টির ফলে বন্যা বাড়ছে। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে নদীভাঙন বাড়ছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের পর এই অঞ্চলে ২০টির অধিক ঝড় আঘাত হেনেছে। ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় রেশমি নারগিস আঘাত হানে। ২০০৯ সালে আইলার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় এলাকা। ২০১৩ মহাসেন, ২০১৫ সালে কোমেন, ২০১৬ সালে রোয়ানু, ২০১৮ সালে তিতলি ও গাজা সেভাবে প্রভাব না ফেললেও ২০১৯ সালের ৪ মে ফণী, ২০২০ সালের ২০ মে আম্পান এবং ২০২১ সালের ২৩ মে ইয়াসের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় মানুষ। তবে সিত্রাংয়ের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় দিন দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূলের মাটি ও পানি পরীক্ষা করে দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলের পর থেকে ২০-২৫ ডিএস মিটার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। এপ্রিলের আগে ১০-১২ ডিএস মিটার পাওয়া যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় ৮ ডিএস মিটারের নিচে লবণাক্ততা কখনও নামে না। লবণাক্ততা ৩-৪ ডিএস মিটার থাকলে ধান উৎপাদন কঠিন হয়ে যায়। নিয়মিত এই মাত্রার লবণাক্ততার মধ্যে মানুষ বসবাস করলে শারীরিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা হয়। প্রতিবছর যেভাবে লবণাক্ততা বাড়ছে তাতে একসময় উপকূলীয় এলাকা বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে। লবণ সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের গাছ উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলার পর থেকে এই এলাকার কৃষিজমি কমে গেছে। অনেক মানুষ ইটভাটা এবং দিনমজুর হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় কাজের জন্য যান। কাজের মৌসুম শেষ হলে তারা আবারও ফিরে আসেন। মানুষকে যাতে এলাকা ছাড়তে না হয় সেজন্য কৃষিজমি বৃদ্ধি ও কৃষির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি আমরা। গাবুরায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ হলে নোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে না। এদিকে সরকারের নজর আছে। তারই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নকাজ চলছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!