খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

চৌগাছায় ভৈরবের মাটি চোরদের নামে নিয়মিত মামলা, মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর জব্দ

চৌগাছা প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় ভৈরব নদ তীরের মাটি চোরদের বিরুদ্ধে এবার চৌগাছা থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার নির্দেশে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া ভুমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বুধবার (১২জানুয়ারী) চৌগাছা থানায় এই মামলা করেন। তাঁর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫-১ ধারায় নিয়মিত মামলা রেকর্ড হয়েছে।

মামলায় জগদীশপুর ইউনিয়নের ঝিনাইকুন্ড গ্রামের মনিকুল ইসলামসহ (৪০) সাতজনকে আসামী করা হয়েছে।মামলার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইরুফা সুলতানা গত ১১ জানুয়ারী বিকেল ৪টায় তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আমার উপস্থিতিতে আমার কর্ম এলাকা উপজেলার জগদীশপুর ইউনয়িনের ঝিনাইকুন্ডু মৌজার ভৈরব নদের উত্তর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার সময় বর্ণিত আসামীরা একটি মোটরসাইকেল ও একটি মটি/বালু বহনকারী ট্রাক্টর ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আশিকুর রহমান ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে তাদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল ও মাটি/বালু বহনকারী ট্রাক্টর জব্দ করেন।

দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার পাতিবিলা ও জগদীশপুর ইউনয়িনে ভৈরবপাড়ের মাটি একটি মাটি চোর চক্র কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছিলো। এ বিষয়ে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে চৌগাছা উপজেলা প্রশাসন। পুলিশ কয়েকবার মাটিবহনকারী ট্রাক ও ট্রাক্টর আটক করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা আদায় করা হলেও চক্রটিকে থামানো যাচ্ছিল না। নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা যোগদান করার পরও একাধিকবার এই চক্রের সদস্যদের সতর্ক করেন।যশোরের ডিসি তমিজুল ইসলাম খান চৌগাছায় এক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, আমি সম্প্রতি যোগদান করার পর থেকেই ভৈরব নদ, বেড়গোবিন্দপুর বাওড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালু উত্তোলনের অভিযোগ আসছে। এরআগে এমন কয়েকজনকে নিষেধ করা হলেও তারা থামেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে তারা মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি বলেন, অন্য যে সব স্থানে অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালু উত্তোলন হচ্ছে সেসব স্থানেও অভিযান চালানো হবে।

চৌগাছা থানার পরিদর্শক তদন্ত গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫-১ ধারায় এ বিষয়ে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!