খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
  বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব
  নাটোরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক ট্রাক ড্রাইভার নিহত

চোরাচালানিদের রোষানলে বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার

শার্শা প্রতিনিধি

ভারতে যাতায়াতকারী ল্যাগেজ পার্টির চোরাচালানি মালামাল আটক করতে গিয়ে রোষানলে পড়েছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো: আব্দুল কাইয়ুম। চোরাচালানিরা তাকে প্রায়সই প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ডিসি আব্দুল কাইয়ুম। যার জিডি নম্বর – ১১৪৫।

এই পথে ল্যাগেজ পার্টি নামধারী চোরাচালানি সদস্যরা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাচালানি পণ্য পাচার করছে দীর্ঘদিন থেকে। কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার আব্দুশ রশিদ মিয়া বেনাপোল যোগদানের পর পরই ভারত থেকে আসা কয়েক কোটি টাকার চোরচালানের মালামাল আটক করে। আদায় করা হয় ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব। যারা প্রকৃত পাসপোর্ট যাত্রী তারা ব্যাগেজ স্ক্যানিং করে সরাসরি গ্রীন চ্যানেল দিয়ে চলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র অবৈধভাবে কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসা চোরাচালানী ব্যবসায়ীদের মালামাল আটক করে রাজস্ব আদায় করায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে ল্যাগেজ পার্টির সদস্যরা।

বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে আসা ভারতীয় ল্যাগেজ পার্টি যাত্রী রিয়াজ মণ্ডল প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাচালানী মালামাল পাচার করে এনে বেনাপোল চেকপোস্টে দোকানে বিক্রি করে ফিরে যাচ্ছে দেশে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে তার ৩০ লাখ টাকার মালামাল আটক করে রাজস্ব পরিশোধ করে ছেড়ে দেয়।

কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সম্প্রতিককালে ভারতীয় একটি চোরাচালানী চক্র পাসপোর্ট যোগে প্রতিদিন বিজনেস ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। তাদের সাথে আনা লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল চেকপোস্টেই বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী মাহাবুব আলম জানান, পাসপোর্ট যোগে চোরাচালান ব্যবসা বেড়েছে এই পথে। পাসপোর্টে ল্যাগেজ পার্টির সদস্যরা প্রতিদিন এক একজন লক্ষ লক্ষ টাকার চোরাচালানী পণ্য নিয়ে আসছে দেশের অভ্যন্তরে। তাদের পণ্য আটক করলেই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করছে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর। তাদের জন্য আমাদের মত সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, সত্যিকারের যাত্রীদের কোন ধরনের হয়রানি করা হয়না। অবৈধভাবে কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে চোরাই মালামাল নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের পণ্য আটক করলেই তারা হয়রানির অভিযোগ করে থাকে। কঠোর নজরদারির কারণে চোরাচালানি ব্যবসায়ীরা এখন শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মালামাল আনতে পারছেন না।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!