খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে মৃত্যু ১৩, শনাক্তে রেকর্ড

গেজেট ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। শনাক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। শনিবার থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (০৪ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৯ জন। শনিবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৪১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ১৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৪০ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩০, আলমডাঙ্গায় ২৮, দামুড়হুদায় ৩৬ এবং জীবননগরের ৪৬ জন রয়েছেন।

করোনায় মারা যাওয়া দুজন চুয়াডাঙ্গা সদরের, একজন দামুড়হুদা এবং একজন আলমডাঙ্গার বাসিন্দা। এর মধ্যে আলমডাঙ্গার বাসিন্দা কুষ্টিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সাতজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদজোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুজন উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের এবং জেলার বাইরে ১৬ জনের।

ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, এবার রোগীদের ফুসফুস আক্রান্তের হার অনেক বেশি। দ্রুত অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ফাইব্রোসিস ওষুধ যোগ না করলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই ওষুধগুলোর মূল্য অনেক বেশি। মেরোপেনাম সরকারি ওষুধ এটা সিএমএসডি ডিপোতে স্বল্প থাকায় আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পাইনি। সাপ্লাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ডাক্তারদের কোয়ারেন্টাইন সুবিধা কমিয়ে শনিবার থেকে সকাল বিকেল দুজন করে, রাতে একজন করে ডিউটি করছে। রাতে ডিউটি করার পর অফ না নিয়ে আবার বিকেলে এসে সাপোর্ট দিচ্ছে। আমি বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ হওয়ায় (আরএমও) এ কাজের বাইরে সকালে থেকে রাত পর্যন্ত খারাপ রোগীগুলোকে দেখছি। এ সময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!