চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে চুরির অভিযোগে ১২বছর বয়সী এক শিশুকে গাছে বেধে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৯ মে) সকালে উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া স্টেশনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া রিয়োন ট্রেডার্স নামের একটি দোকানে সকাল ১০টার দিকে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে চুরি করা উদ্দেশ্যে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে।দোকানে সাটারের শব্দে দোকানী এসে দেখেন, ভিতরে একজন শিশু ক্যাশ বাক্স ভাঙ্গার চেষ্টা করছে পরবর্তীতে তিনি শিশুকে আটকিয়ে রাখলে, স্থানীয়রা দোকানের ভেতর থেকে তাকে ধরে গাছে বেধে রাখেন। পরে চুরির অভিযোগ এনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রিয়োন ট্রেডার্সের মালিক জসিম বলেন, বাড়ির সাথে আমার দোকান, দোকান বন্ধ করে আমি বাড়ি ভিতরে ছিলাম। হঠাৎ দোকানে শাটার টানার শব্দ শুনে এসে দেখি দোকানের ভেতরে সে রয়েছে। সে চুরি করার জন্য দোকানে ঢুকেছিল বলে স্বীকার করে।
ওই শিশুকে গাছে বেধে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম বলেন, আমি তাকে গাছে বেধে রাখিনি। এলাকার কয়েকজন এটা করেছে।
ওই শিশুর কাছে জানতে চাইলে বলে, আমি চুরি করতে দোকানে ঢুকেছিলাম। আমার ভুল হয়ে গেছে। আর এমন কাজ করব না।
শিশুরটির ভাই বলেন, আমি মাঠে কাজ করি। স্টেশনে ট্রেনে কলা তুলি। আমার ভাই বাড়ি থাকতে চাই না৷ বাড়ি ছেঁকল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছিল। আমাদের এই এলাকায় আর থাকতে দেবে না। বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, শিশুকে পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। যেহেতু তার বয়স কম, তাই পরিবারের সদস্যরা দায়িত্বে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷
গাছে বাঁধার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গাছে বাধা অবস্থায় পায়নি।
উল্লেখ্য, ওই শিশুর পরিবার আগে আলমডাঙ্গায় থাকত। ওই শিশু এলাকায় চুরি করতো বলে তাদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তারা বর্তমান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার যদুপুর গ্রামে বসবাস করছেন