খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙামাটির সাজেকে শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক পাহাড়ের খাদে পড়ে ৯ জন নিহত

চিতলমারীতে রাস্তায় খানাখন্দ, চলাচলে দূর্ভোগ

এস এস সাগর, চিতলমারী

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বেশীর ভাগ রাস্তায় খানাখন্দ ও বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেক সড়ক বৃষ্টি ও কাঁদায় নালায় পরিণত হওয়ায় মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রাস্তার গর্তে জলাবদ্ধতায় হাঁসে খাবার খোঁজে। দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর আগে ইটেরসলিং দেওয়া এসব রাস্তায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে এমনটাই জানালেন চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের রঞ্জন বৈরাগী, নৃপেন মন্ডল, বিবেক রায় ও শ্যামল রায়।

তাঁরা আরও জানান, চরবানিয়ারী উত্তরপাড়ায় একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটির ইটেরসলিং উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এছাড়া শিবপুর ছোটপোল এলাকার গ্রামীণ সড়কটি প্রায় ১২ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক চলাচল করে। কুরমনি গ্রামের ভিতরের রাস্তা, চরবানিয়ারী নেসারিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকার রাস্তা বেহালদশা হওয়ায় বৃষ্টি মৌসুমে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। কাঁদা ভর্তি সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া কলাতলা ও বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক, খড়মখালী হতে বলেশ্বর নদী পর্যন্ত সড়ক, চিতলমারী থানার পেছনের সড়ক, হিজলা স্বপ্নপুর এবং কুরালতলা গ্রামের সড়ক, চরশৈলদাহ গুচ্ছ গ্রামের রাস্তাসহ এ উপজেলায় বহু গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারীর চলাচলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

কুরমনি গ্রামের বলরাম বিশ্বাস ও হরে কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, গ্রামীণ সড়ক দিয়ে এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। কিন্ত রাস্তার কারণে প্রতিনিয়ত অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়। অনেকে বৃষ্টির সময় জামা কাপড় কাঁদা মেখে স্কুলে আসে।

এ ব্যাপারে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য অপূর্ব মন্ডল নিত্যা বলেন, আমার ওয়ার্ডে দুটি রাস্তার জন্য জনগনকে কঠিন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত রাস্তা গুলো সংস্কারের প্রয়োজন।

তবে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়ক গুলোর তালিকা করে উপর মহলে পাঠিয়েছি। বরাদ্দর কথাবার্তা চলছে। বরাদ্দ হাতে পেলে ওই সব সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!