খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজ ডুবি
  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট; শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
  প্রতিবাদে বাসে আগুন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
  আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ৪ মে শনিবারও শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চিতলমারীতে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত কদবেল খেয়ে ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত কদবেল খেয়ে ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। তারা সকলে ওই উপজেলার সন্তোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে অভিভাবরা কদবেল বিক্রেতা সৈয়দ আলীকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনাটি ঘটে।

সন্তোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছায়া রাণী ব্রহ্ম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অসুস্থরা হলেন, পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিয়া লিমন (১০), কাজী সোয়ান (১১), রথীন সরকার (১০) ও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম ইসলাম (৮)।

প্রধান শিক্ষক আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সকল শিক্ষার্থীরা মাঠে দৈনিক সমাবেশে (এসেম্বলি) দাড়ায়। এ সময় ওই চার শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের দ্রুত  উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময়ে তারা স্কুলের সামনে থেকে কদবেল কিনে খাওয়ার কথা জানালে অভিভাবকরা ওই কদবেল বিক্রেতাকে আটক করে।

অসুস্থ শিক্ষার্থী সিয়াম ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আলী হাসান জানান, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এক শ্রেণীর অসাধু ফল বিক্রেতা অপরিপক্ক কদবেলে বিষাক্ত রাসয়নিক মিশিয়ে পাকাচ্ছে। ওই কদবেল খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছে।

উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ও গরীবপুর ক্লাস্টার তপন কুমার দেবনাথ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানালে আমি হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যাই। তিনি জানান, বিদ্যালয় গুলোর সামনে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বিক্রি বন্ধ করা দরকার।’

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন হাসান জানান, খাদ্য বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যর মিশ্রন থাকায় ওই ৪ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা এখন শঙ্কামুক্ত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খোঁজ নিয়ে দেখব। ’ বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!