খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
  ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট
  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে খুলনার সরকারী গুদামে মজুদ বাড়ানো হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানী হলেও মূল্য প্রতি সপ্তাহে এক দু’ টাকা করে বেড়েছে। শহরে ওএমএস ও গ্রামে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি হলেও মোটা চাল কেজিপ্রতি ৩৯ টাকা ও চিকন চাল ৬২ টাকার নিচে নামেনি। খাদ্যমন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি মূল্য বাড়ার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারিনি। মূল্য স্থিতিশীল রাখতে খুলনার ১০টি খাদ্যগুদামে মজুদ বাড়ানো হচ্ছে। আগষ্ট মাসে মজুদ ছিল ৭৭ হাজার দুইশ’ ৬৯ মেট্রিকটন। আর শেষ অক্টোবরে মজুদের পরিমাণ এক লাখ ৯ হাজার ৮০৭ মেট্রিকটন।

গত ৫ আগষ্ট খাদ্যমন্ত্রণালয়ে পাঠানো খুলনা জেলা কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অসাধু ব্যবসায়িদের কারসাজিতে ধান চালের বাজার উর্দ্ধমূখী। জেলা কমিটি ডুমুরিয়ার চুকনগর গাজী রাইস মিল পরিদর্শনের পর ধান চালের অস্বাভাবিক মজুদ দেখতে পাননি। এ কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন দেশে মোটা ধানের আবাদ কমেছে, আমদানির মাধ্যমে বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়াতে হবে।

গত আগষ্ট মাসে মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রিয় খাদ্যগুদাম, খুলনা কেন্দ্রিয় খাদ্যগুদামসহ উপজেলা পর্যায়ের গুদামগুলোতে বোরো সংগ্রহের ৫৬ হাজার একশ’ ৫৫ মেট্রিকটন সিদ্ধ, ১ হাজার সাতশ’ ৯ মেট্রিকটন আতপ এবং ভারত থেকে আমদানীকৃত ১৯ হাজার তিনশ’ ৯৫ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মজুদ ছিল। অক্টেবরের শেষদিনে বোরো সংগ্রহের ৫৯ হাজার ৪শ’ ২৮ মেট্রিকটন সিদ্ধ, ৪শ’ ১২ মেট্রিকটন আতপ এবং ভারত থেকে আমদানীকৃত ৪৯ হাজার ৯শ’ ৯৬ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল মজুদ রয়েছে।

সূত্র উল্লেখ করেছেন অক্টোবর পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানী অব্যাহত ছিল। বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমদানিকারক কাজী সোবহান ট্রেডিং এর মালিক কাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ডলারের মূল্য বাড়ায় আমদানিকারকরা আমদানিতে নিরুৎসাহিত হয়েছে। অক্টোবর মাসে একাধিকবার মূল্য বেড়েছে। দ্বিতীয় দফায় খুলনার তিনজন আমদানিকারকের ৪৮ হাজার মেট্রিকটন চাল আনার অনুমতি দেয়া হলেও তারা ১০ হাজার মেট্রিকটনের বেশি আনতে পারেনি। পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন মোকাম থেকে খুলনা পর্যন্ত চাল আসতে ২৮ দিন সময় লেগেছে।

গত দু’মাসে ৫ হাজার ৩৩ মেট্রিকটন ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হয়েছে। নভেম্বরের পর ১০ টাকার চালের আর সুযোগ থাকছে না।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!