খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

ঘের দখল চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগেরহাট

বাগেরহাটে মৎস্য ঘের দখল চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার বড় বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ঘের মালিক ও এলাকাবাসীরা এই মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ঘের ও জমির মালিক মোঃ কাওছার হোসেন জুয়েল, স্থানীয় রুহুল আমিন, তারেক, হাসিব হাওলাদার, মোঃ হেমায়েত হোসেন, মোঃ আজিম, লিমা বেগম, তাছলিমা বেগম, শাহিনুর বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বসতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল অন্যায়ভাবে ঘের দখলের চেষ্টা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই এলাকার মানুষ শান্তিতে তাদের নিজেদের জমি ভোগ দখল করুক।

ঘের ও জমির মালিক মোঃ কাওছার হোসেন জুয়েল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বড় বাঁশবাড়িয়া মৌজায় ৫২ বিঘা জমিতে আমরা পারিবারিক ভাবে মৎস্য ঘের করি। এর মধ্যে বেশিরভাগ জমি আমার বাবা ও আত্মীয় স্বজনের। কিন্তু হঠাৎ করে রামপাল উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এই ঘেরটি দখলের চেষ্টা শুরু করেন। তাকে ঘের করার সুযোগ দিতে আমাকে ও আমার ভাইদের হুমকী ধামকী দেওয়া শুরু করে।

২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ৩০ টি মোটরসাইকেলে শতাধিক লোক নিয়ে আমাদের বাড়ি ঘেরাও করে। আমার বড় ভাই জিলাম হাওলাদার ও আমাকে উঠিয়ে নেওয়া ও মারধরের চেষ্টা করে। জীবন বাঁচাতে আমার ভাই তার লাইসেন্সকৃত বন্ধুক দিয়ে ফাকা গুলি করে। আমরা ৯৯৯ এ ফোন করলে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে হবে বলে পুলিশ আমার ভাইকে নিয়ে আসেন। পরে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলকে গুলির ঘটনায় মামলা দায়ের করে আমার ভাইকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। যা স্পষ্ট অন্যায়।

তিনি আরও বলেন, এত কিছুর পরেও মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও তার লোকজন থেমে থাকেনি, আমাদের ঘের থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আমাদের উপর হামলা করার চেষ্টা করছে। আমাদের আত্মীয় স্বজনদেরও হয়রানির চেষ্টা করছে। আমরা যাতে হয়রানি মুক্তভাবে মৎস্য ঘের ভোগদখল করতে পারি এ জন্য বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

রুহুল আমিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, চেয়ারম্যান সোহেল যে ঘের দখল করতে চায়, এই ঘেরের মধ্যে কি তার বা তার বাপ-দাদার জমি আছে? এখানে তাদের কোন জমি নাই। তাইলে কেন সে এই ঘের দখল করতে চায়। শুধু রুহুল আমিন না, স্থানীয় আরও অনেকে একই প্রশ্ন করে বিষ্ময় প্রকাশ করেন জমির মালিকানা না থাকার পরেও কেন একজন জন প্রতিনিধি ঘের দখলের চেষ্টা করবেন।

মানবন্ধন শেষে জমি যার, ঘের তার স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। মিছিল থেকে চেয়ারম্যান সোহেল ও তার লোকজনের হাত থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি চাওয়া হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন,আমি বড়বাঁশবাড়িয়া এলাকায় বিভিন্ন জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছি।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!