খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সড়কে ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
  চাঁদপুরের হবিগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও শিশুর মৃত্যু
  নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি

গাজীপুর সিটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারে হামলা

গেজেট ডেস্ক

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারে তার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, তাদের নির্বাচনী প্রচারে হামলা করেছেন নৌকার মেয়র প্রার্থীর লোকজন।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকায় ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, ‘আমার মা জায়েদা খতুন টেবিল ঘড়ি মার্কার প্রচারে টঙ্গীর ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় যায়। এ সময় মায়ের সঙ্গে আমিও ছিলাম। আজমত উল্লার ক্যাডাররা, তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ৭০ বছর বয়সি মায়ের ওপর হামলা করেছে। আমার মা ও আমার ওপর প্রথমে ইট মেরেছে। আমার মাকে হত্যা করার নীলনকশা এঁকেছে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেন তারা কীভাবে হামলা করেছে, আল্লাহর রহমতে বেঁচে রয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাই, এটা কি ভোট? একজন প্রার্থীকে হত্যা করার চেষ্টা করছে প্রচারণার সময়।’

জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া সবাইকে মারধর করা হয়েছে বলে এ সময় দাবি করেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, ‘আমার মাকে যদি হত্যা করা হয়, তবে এ দেশের সব মাকে হত্যা করা হবে। সবার নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। আমার মা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে, তার প্রতি এত ক্ষোভ কেন? আমার প্রতি ক্ষোভ আপনাদের থাকতে পারে, আমাকে মেরে ফেলেন সমস্যা নেই; কিন্তু আমার বৃদ্ধ মাকে মারবেন না।’

হামলার অভিযোগ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বক্তব্য জানতে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নির্বাচনী প্রচারে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হামলা হয়েছে বলে শুনেছি, কিন্তু আমাদের কাছে ওই প্রার্থী বা কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীর গণসংযোগের ২৪ ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট থানায় জানাতে হবে। তবে টেবিল ঘড়ির প্রার্থী আগে কিছু জানায়নি।’

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সমান অধিকার রয়েছে। যদি কোথাও হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তবে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!