খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫
  গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

গণশুনানিতে মেধাবী শিক্ষার্থী চয়নিকার স্বপ্ন পূরণ করলেন সাতক্ষীরার ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

গণশুনানিতে গরিব মেধাবী এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না জানার পর তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কার্যালয়ে গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তার বিষয়টি জানার পর আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম শামসুন্নাহার চয়নিকা।তিনি সাতক্ষীরা জেলার
কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাটরা গ্রামের রেজাউল করিমের বড় মেয়ে। চয়নিকা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনে অর্নাসে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

শামসুন্নাহার চয়নিকা বলেন, আমি ২০১৯ সালে এস এস সি এবং
২০২১ সালে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে ২০২১-২২ সেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছি। তিনি জানান, তার বাবা একজন কৃষক। তারা তিন বোন। বর্তমানে তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। তাই তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিও টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। এজন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানিতে এসে তার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক তাকে ভর্তির জন্য ১৭ হাজার টাকা দিয়েছেন। এজন্য তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম শামসুন্নাহার চয়নিকা।তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাটরা গ্রামের রেজাউল করিমের বড় মেয়ে। চয়নিকা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনে অর্নাসে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

শামসুন্নাহার চয়নিকা বলেন,আমি ২০১৯ সালে এসএসসি এবং ২০২১ সালে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে ২০২১-২২ সেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছি। তিনি জানান, তার বাবা একজন কৃষক। তারা তিন বোন। বর্তমানে তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। তাই তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিও টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। এজন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানিতে এসে তার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক তাকে ভর্তির জন্য ১৭ হাজার টাকা দিয়েছেন। এজন্য তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এটা আমাদের কোনো সহায়তা নয়। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তাই তার হাতে তুলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী চান কোনো ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা যেন আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বন্ধ হয়ে না যায়। আমি আমার সন্তান থেকেও তাদের বেশি স্যালুট জানাই। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে তারা আমার কাছে আসবে। তাদের প্রতি নজর রাখা আমাদের কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে যেন কারও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পড়ালেখা বন্ধ না হয়।

এদিকে মেয়ের স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চয়নিকার বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ রেজাউল করিম।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনিসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/ বিএমএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!