খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট
  রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  জাতীয় পতাকার নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
  বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন মামলা নেই : প্রধানমন্ত্রী
  জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

আজ ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের একত্রিশ বছর পূর্তি। করোনা মহামারীর কারণে গত বছর সীমিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হলেও এবছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিকাল সাড়ে ৩টায় মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন, বিকাল ৪.২০ মিনিটে বিগত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান। এটি এ বছরের প্রথম আয়োজন।

এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা। এ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও শিক্ষাকার্যক্রমের একত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, দেশবাসীসহ খুলনার সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও শিক্ষাকার্যক্রমের একত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরাও এক শুভেচ্ছা বিবৃতি দিয়েছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।

প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নবম। মহানগরী খুলনা থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন ময়ূর নদীর তীরে এক মনোরম পরিবেশে গল্লামারীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকাটি ছিলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এক বধ্যভূমি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এখানে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা, চারুকলাসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি স্কুল (অনুষদ) রয়েছে। এখানে মোট ২৯টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মিত ব্যাচেলর ডিগ্রি, ব্যাচেলর অব অনার্স ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি, এম ফিল এবং পিএইচডি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা ৫ শতাধিক। ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় ৭ হাজার। এর মধ্যে বিদেশী শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯ জন। এছাড়া কর্মকর্তা রয়েছেন ৩ শতাধিক এবং কর্মচারি রয়েছে ৪ শতাধিক। শিক্ষাকার্যক্রমের গত ৩১ বছরে ২৭টি ব্যাচে থেকে উত্তীর্ণ গ্রাজুয়েট সংখ্যা ১৩ সহস্রাধিক। যারা দেশে-বিদেশে দক্ষতা, সুনাম ও সাফল্যের সাথে নানা পেশায় কাজ করছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই পিএইচডি ডিগ্রিধারী। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অনুপাত ১:১১। যা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক এবং দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 

 

 

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!