খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
  সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন মারা গেছেন
  নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত
  যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ পালিত হয়েছে।

একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকালে নগরভবন চত্ত্বরে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। কেসিসি’র ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এসএম মোজাফ্ফর রশিদী রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র-২ মোঃ আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা, সচিব মোঃ আজমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাদ জোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে শহিদদের রূহের মাগফিরাত ও দেশের কল্যাণ, শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বিকেলে এ উপলক্ষে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলসকক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথি বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে জাতির প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম এই বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে যত আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে তার সবকিছুতেই ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ সমর্থন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবির পিছনে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। মেয়র বলেন, একুশের চেতনা অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতিকে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারই সব মানুষের অধিকার ও মর্যাদাকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনর (উন্নয়ন) সৈয়দ রবিউল আলম, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবীর, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মোঃ মাহবুব আলম সোহাগ। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার সাধন রঞ্জন ঘোষ এবং উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্কুল-কলেজে নান্দনিক হাতের লেখা, স্ব-রচিত ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি সংক্রান্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী শিশুদের বিনা টিকিটে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করে।

শহিদ হাদিস পার্ক এবং জাতিসংঘ পার্কে সন্ধ্যায় খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র ও পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বিকেলে শহিদ হাদিস পার্কে শহিদ বেদিতে শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ গানটি পরিবেশিত হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। উপজেলা সমূহে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!