খুলনা বিএসটিআই’র পরীক্ষায় আম-লিচুসহ মৌসুমী বিভিন্ন ফলে ক্ষতিকারক ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মে মাসে নগরীর কয়েকটি বাজারের ফল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে তারা। ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানোর বিষয়টি নিয়ে জনমনে আতঙ্কের কারণে সরকার কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এবারও নগরবাসী এ সুফল ভোগ করছে।
মূলত: আমের রং ও পচন রোধে ফরমালিন মেশাতো ব্যবসায়ীরা। এসব খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় নগরবাসী। নিয়মিত তদারকি না থাকার অভিযোগে প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তোলে সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে মিডিয়াও সরব হওয়ায় প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। সরকারের নির্দেশনায় অভিযানে নামে বিএসটিআই। তার সাথে যোগ হয় প্রশাসন। গত বছর থেকে এদের অভিযানে খাদ্যপণ্যে কোন কেমিক্যাল মেশাতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।
খুলনা বিএসটিআই’র সহকারি পরিচালক দেবল কান্তি রায় জানান, খুলনায় আমের উৎপাদন খুব কম। সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও মেহেরপুর থেকে মূলত: আম আসে। এখানে স্যাম্পল পরীক্ষায় অপদ্রব্য না মেলার অর্থ ওই সব জায়গাতে ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে না। তিনি জানান, নগরীর ময়লাপেতা, নিউমার্কেট, সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী ও বড় বাজার এলাকার বিভিন্ন ফলের দোকান থেকে স্যাম্পল এনে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলে সেখানে অপদ্রব্যের কোন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যেগে প্রতিমাসে একবার করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৩১ মে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিউমার্কেটের ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নের্তৃত্ব দেন বিএসটিআই খুলনা ফিল্ড অফিসাার মোঃ তরিকুল ইসলাম ও পরীক্ষক আঞ্জুমান আরা। তারা সেখানকার ফলে কোন অপদ্রব্যের মিশ্রণ পায়নি। গত দু’বছর খুলনার কোন ফলের দোকানে ফরমালিন মিশ্রিত কোন খাদ্যপণ্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। যা এ প্রতিষ্ঠানের একটি বড় সাফল্য।
নগরীর কদমতলা এলাকার মোহাম্মাদিয়া ট্রেডিং এর পরিচালক ও কাঁচা পাকা ফলের আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এ মার্কেটে ফরমালিনযুক্ত কোন খাদ্যপণ্য আসে না। যদিও আসে সেটা ফেরৎ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা খুব সচেতন।
খুলনা গেজেট/ এস আই