খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সড়কে ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
  চাঁদপুরের হবিগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও শিশুর মৃত্যু
  নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি

খুলনায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিযানের দু’মাস চারদিন পার হলেও লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খুলনা জেলা খাদ্য অফিস। ফলে ৩১ আগস্টের মধ্যে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রতিবছর কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও মিল থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহের পর তা সরকারি গুদামে রাখা হয়। আমন ও বোরো মৌসুমে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ধান-চাল সংগ্রহ করে থাকে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে খুলনায় ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এর দু’মাস চারদিন অতিবাহিত হলেও তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে অর্ধেকেরও কম। তাছাড়া সরকারের ন্যায্যমূল্য থেকে হাটে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধান চাল সংগ্রহ অভিযান ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। ২৪ এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এবছর জেলায় টার্গেট করা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৮ মেট্রিকটন ধান ও ১৯ হাজার ১৪০ মেট্রিকটন সেদ্ধ চাল । কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তারা কৃষকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন ধান ও মিলারদের কাছ থেকে ৮ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে। চাল কেনার জন্য খুলনার ১০৫ জন মিলারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এ অফিস। তারা কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান কিনছে এবং মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা দরে চাল নিচ্ছে।

খুলনার পুটিমারী এলাকার কৃষক পিলোক বিশ্বাস বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ১০ বিঘা জমি আবাদ করেছেন। ১০০ মণ ধান পেয়েছেন। তিনি হাটে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করেছেন। সরকারের নির্ধারিত দর থেকে আরও ৪ টাকা বেশী দরে ধান বিক্রি করেছেন।

একই এলাকার কৃষক নির্মল ঢালী বলেন, অশিক্ষিত মানুষ মোবাইল চালাতে জানিনা। কৃষি এ্যাপস কি তা আমি জানিনা। সরকারের কোন লোক ধানের জন্য আমার কাছে আসেনি। জমিতে যে ধান পেয়েছিলাম তা হাটে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে সরকারের নির্ধারিত দর থেকে বেশি দামে ধান বিক্রি করেছেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: বাবুল হোসেন বলেন, চাল মিলাররা সরবরাহ করবে। এজন্য খুলনা জেলায় ১০৫ জন মিল মালিকদের সাথে চুক্তি হয়েছে। ধান যেহেতু প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে কিনতে হয়। চালের ক্ষেত্রে না থাকলেও ধানের ক্ষেত্রে শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!